লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমানে ড্রাগন ফল প্রায় সকলের পরিচিত। রাস্তায় বের হলে এই ফলের দেখা মিলবেই। এখন বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে অনেকের কাছে সহজলভ্য এই ফল। শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেরই পছন্দের খাবার এই ড্রাগন ফল।
পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য ড্রাগন ফল। এই ফল ভিটামিন সি’র দারুণ উৎস। ফলে এই ফল শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে। আবার আয়রনের চমৎকার উৎস রঙিন ড্রাগন ফল রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, পুষ্টি বিবেচনায় ড্রাগন ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমাতে ড্রাগন ফল ডায়েটের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এই ফল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। আবার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির নিউট্রিশন অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ‘ড্রাগন ফলকে বলা হয় প্রিবায়োটিক পাওয়ার হাউস। ফলে ফলটি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এই ফলের খাদ্য আঁশ ও কালো বীজে থাকে ল্যাক্সেটিভ ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হজমে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে ড্রাগন ফল। এ ছাড়া
ভিটামিন সি’র মাত্রা বেশি থাকায় এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।’
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে জলীয় শতাংশ থাকে প্রায় ৮৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪ গ্রাম (বলতে গেলে ফ্যাট নাই) এবং কার্বোহাইড্রেট ১১.০ গ্রাম। এছাড়া ভিটামিন সি থাকে ২০.০৫ মি.গ্রা., ভিটামিন বি১ থেকে ০.০৪ মি.গ্রা., ভিটামিন বি ২ থাকে ০.০৫ মি.গ্রা., ভিটামিন বি ৩ থাকে ০.০১৬ মি.গ্রা.। মিনারেলসের ভেতর পটাশিয়াম ৩৫৯ মি.গ্রা, আয়রন ১.৯ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ৮.৫ মি.গ্রা., ফসফরাস ২২.৫ মি.গ্রা. থেকে । এছাড়া ৩ গ্রাম খাদ্য আঁশ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা ৯ ফাটি অ্যাসিড ও থাকে।
পুষ্টিবিদ ফাতেমা তুজ জোহরার মতে, ড্রাগন ফলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে। এই যৌগ প্রদাহজনক এবং অক্সিডেটিভ প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে যুক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ক্যানসার, ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে। বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপিন পিগমেন্ট সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।
তবে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ হলো, ড্রাগন ফলের বীজে বেশ কিছু তেল ও প্রোটিন থাকে, যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই ফলে অনেক বেশি পটাশিয়াম থাকায় কিডনি রোগীরা এবং স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।