জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালিন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনার ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে শীতকালিন সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। শুধু তাই নয় সোনালি মুরগির দামও বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, গত সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। চলতি সপ্তাহে ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। শুধু ব্রয়লার নয় সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগিরও বাজার চড়া। আমরা সোনালি ২৯০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসব বাজারে শীতকালীন সবজি দাম গত সপ্তাহের চেয়ে তুলনামূলক কিছুটা বেড়েছে। আমদানি ভালো থাকলেও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামের মধ্যে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সবজি বিক্রেতারা।
তালতলা ডেসকো অফিসের সামনে সবজি বিক্রেতা মামুন বলেন, শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসছে। তবে হরতাল, অবরোধের কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।
গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭৬০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।