বিনোদন ডেস্ক : কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে দেখা গিয়েছিল টলিউডের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে। কখনো নিজের সংসদীয় আসন বসিরহাটে, কখনো বা নিউটাউনে দেখা যায় তাকে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের দিনেই তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় নুসরাতকে।
শনিবার অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েত ভোট। এদিন সকাল থেকে সারা রাজ্য থেকে একের পর এক সন্ত্রাসের খবর আসে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৬৬.২৮ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজ্য রাজ্যজুড়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ জনে। এর মাঝেই পোস্ট হওয়া নুসরাতের রিলস যেন ঘিয়ে আগুন।
শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের সকালেই একটি ক্রিকেট বেটিং অ্যাপের প্রচারে একটি রিলস পোস্ট করেন অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান। সেই ভিডিওতে একটি বেটিং অ্যাপের প্রমোশনে নুসরাত লেখেন, ‘খেলা ছাড়া জীবনে কোনো মজা নেই?’
অভিনেত্রীর এই পোস্ট দেখেই রেগে আগুন নেটিজেনরা। একজন সংসদ সদস্য হয়ে কেন তিনি বেটিং অ্যাপের প্রচার করছেন? তার বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা।
এক নেটিজেন লেখেন, ‘সংসদ সদস্য হয়ে কী করে আপনি বেটিং অ্যাপের প্রচার করেন? ছিঃ!’ অন্য এক নেটিজেন লেখেন, ‘নেত্রীরা যদি জুয়া খেলতে বলে, তাহলে ভাবো কী হবে?’
অন্য এক ব্যক্তি লেখেন, ‘পঞ্চায়েতে কতগুলো খুন হচ্ছে দেখুন, আপনি তো এমপি তার উপর তৃণমূলের সেলিব্রিটি ক্যাম্পেনর। অন্তত একটু শিরদাঁড়া সোজা রাখুন।’ আরেকজন লেখেন, ‘আপনি নাকি সাংসদ! এসব না করে খোঁজ নিয়ে দেখুন কতজন পঞ্চায়েত ভোটে খুন হল।’ এক নেটিজেন লেখেন, ‘মানুষ মরছে আর সাংসদ রিল বানাচ্ছে। আহা!’
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, ভোটের দিনেও পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে রক্তগঙ্গা। মৃত্যু মিছিল। ভোট সন্ত্রাসের বলি ১৫ জন। মুর্শিদাবাদেই পাঁচজনের মৃত্যু। কোচবিহারে নিহত তিন। পূর্ব বর্ধমানে দুই। মালদায় ২, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তী, নদিয়ার চাপড়তে ও উত্তর দিনাজপুরে এক ব্যক্তি মারা যান।
ভোটের বাংলায় বেলাগাম সন্ত্রাস। জেলায় জেলায় সংঘর্ষ, গুলি, বোমাবাজি। হতাহতের তালিকায় কোথাও শাসক, কোথাও বিরোধী। আহত বহু। রাজনৈতিক সংঘর্ষে জ্বলছে গোটা বাংলা। এর মাঝেই নুসরাতের এহেন আচরণে সাধারণভাবেই রেগে যান নেটিজেনরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।