খেলাধুলা ডেস্ক : এবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ব্রাজিলের ৪টি ক্লাব। এর মধ্যে সবগুলো ক্লাবই উঠেছিল নকআউটে। কিন্তু নকআউট পর্বের ফিক্সচারের কারণে সবগুলো দলের টিকে থাকার সুযোগ নেই।
প্রথম নকআউট ম্যাচেই মুখোমুখি ব্রাজিলেরই দুটি ক্লাব, পালমেইরাস ও বোতাফাগো। এখান থেকে একটি ক্লাবকে নিশ্চিত বাদ পড়তেই হতো। গতকাল শনিবার রাতে সেই মীমাংসাই হয়েছে। বোতাফাগোকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পালইমেরাস।
শনিবার ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে বোতাফাগোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পালমেইরাস। দুই দলের রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে ১০০ মিনিটে। গোলটি করেছেন পালমেইরাসের বদলি তারকা পলিনিও।
ডান দিক থেকে বল কেটে ভেতরে ঢুকে পলিনিও দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে নিচু ও কৌণিক এক শট নেন, যা বোতাফোগো গোলকিপার জনকে পরাস্ত করে নিচের কোন দিয়ে জালে জড়ায়।
ম্যাচের বাকি সময়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করে বোতাফোগো। ১১৬ মিনিটে পালমেইরাস ১০ জনের দলে পরিণত হলে তাদের চেষ্টা আরও বেড়ে যায়। পালমেইরাসের গুস্তাভো গোমেজ বাজে ফাউলের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
তবে পালমেইরাস সেই চাপ ঠেকিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে। প্রায় দুই বছর পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোতাফোগোর বিপক্ষে প্রথম জয় পায় দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে ফিলাডেলফিয়াতেই আগামী শুক্রবার বেনফিকা অথবা চেলসির মুখোমুখি হবে পালমেইরাস।
পালমেইরাস কোচ আবেল ফেরেইরা ম্যাচ শেষে বলেন, আমরা অসাধারণ একটি ম্যাচ খেলেছি। পুরো ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়েও আমরা ভালো খেলেছি। একজন কম নিয়েও দল একসঙ্গে কষ্ট করেছে এবং জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল।
ব্রাজিলের ঘরোয়া ক্লাব প্রতিযোগিতা ও লাতিন আমেরিকা মহাদেশীয় ক্লাব টুর্নামেন্টে দু’দলের লড়াই বেশ জমে। ২০২৩ সালে পালমেইরাস ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-৩ গোলে জয় পায়। যে কারণে বোতাফোগো ব্রাজিলিয়ান লিগ শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে যায়।
এরপর ২০২৪ কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ের পথে পালমেইরাসকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে বোতাফোগো। তারপর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচে পালমেইরাসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ছিল দলটি। প্রথমার্ধ ছিল ধীর গতির। পালমেইরাস বলের দখলে আধিপত্য রাখলেও বোতাফোগোর গভীর রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি।
বাঁ দিক দিয়ে পালমেইরাসের একমাত্র আশার আলো ছিলেন কিশোর উইঙ্গার এস্তেভাও, যিনি টুর্নামেন্ট শেষে ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে চেলসিতে যোগ দেবেন। প্রথমার্ধে একমাত্র অন-টার্গেট শটটি এসেছিল রিচার্ড রিওসের কাছ থেকে, যা বোতাফোগোর গোলরক্ষক জন দারুণভাবে রক্ষা করেন।
বোতাফোগো পুরোপুরি ছন্দহীন ছিল। অথচ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পালমেইরাস ছিল বলের নিয়ন্ত্রণে স্পষ্টভাবে এগিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও আগ্রাসী হয়ে নামে।
৫০ মিনিটে পালমেইরাসের এস্তেভাও একটি গোল করলেও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। পরে তাকে বদলি করে মাঠে আনা হয় পলিনিও। তিনিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল নির্ধারণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।