বিনোদন ডেস্ক : এক ছাদের নীচে দীর্ঘদিন ধরেই থাকতেন না বলিউড অভিনেতা সোহেল খান এবং তাঁর স্ত্রী সীমা খান। কয়েকদিন আগে মুম্বইয়ের ফ্যামিলি কোর্টে দেখা যায় তাঁদের শোনা যায়। আদালত থেকে দু’জনকে আলাদা আলাদা বেরোতে দেখা যায়। ২৪ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টেনেছেন তাঁরা। আর বিবাহবিচ্ছেদ মিটতেই এই কাজও করে ফেললেন সোহেল খানের স্ত্রী।
বিবাহবিচ্ছেদের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন রূপে সোহেল খানের স্ত্রী-
সদ্যই বিবাহবিচ্ছেদর হয়েছে সোহেল খান এবং সীমা সচদেবের। বলিউড তারকা সোহেল খানের স্ত্রী সীমা খানের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে চোখ রাখলে সেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের নামের সঙ্গে থাকা খান পদবি মুছে ফেলেছেন তিনি। আগে তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের ইউজার নেম ছিল সীমা খান। বর্তমানে তাঁর ইনস্টাগ্রামে নাম লেখা রয়েছে সীমা কিরণ সচদেব।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ছয় বছর ধরে আলাদা থাকছিলেন সোহেল এবং সীমা। দু’জনের পরিবারের পক্ষ থেকেই বিয়ে বাঁচানোর সবরকম পরামর্শ দেওয়া হয়। সলমন খান নিজে এ ব্য়াপারে উদ্যোগী হন। কিন্তু এত বছর পরেও সোহেল-সীমার মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাটল রয়ে গিয়েছে। তাই বিবাহবন্ধন থেকে পরস্পরকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে আগের মতোই বন্ধু থাকবেন। সোহেল-সীমার দাম্পত্যে ছেদ পড়ায় বলিউডে অনেকেই দুঃখিত। কারণ পারিবারিক আপত্তি, ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে দু’জনে পরস্পরকে আপন করে নিয়েছিলেন। তিলে তিলে সাজিয়ে তুলেছিলেন সংসার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে।
জানা যায়, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় দিল্লিতে সোহেল এবং সীমার আলাপ। তারপর প্রেম। দিল্লির মেয়ে হলেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে মুম্বই এসেছিলেন সীমা। কিন্তু দু’জনের সম্পর্কে আপত্তি ছিল সীমার পরিবারের। এক রাতে সোহেলের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন সীমা। বন্ধুদের সাহায্যে পুরোহিত ডেকে রাতবিরেতে সাতপাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে। বিয়ে সেরে মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে সে কথা বাবা সেলিম খানকে জানান সোহেল। পরে সীমার পরিবার বিয়ে মেনে নেন এবং খান পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের। সীমার গোটা পরিবারের মুম্বইতে ঘাঁটি গাড়া থেকে সীমার ভাই বান্টি সচদেবের প্রযোজক হওয়ার পিছনেও খান পরিবারেরই হাত ছিল বলে শোনা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।