জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল রানা!

জায়েদ খান-সোহেল রানা

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি বাতিল করেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ। বিষয়টি কতটা যুক্তিসঙ্গত সম্প্রতি এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঢালিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি সোহেল রানা।

জায়েদ খান-সোহেল রানা

সংবাদমাধ্যমে সোহেল রানা বলেন, বর্তমান শিল্পী সমিতির মেয়াদ শেষ। এই দুই বছরে তেমন কোনো কাজই করে দেখাতে পারেনি কমিটি। পিকনিক ছাড়া আর কিছুই তো হয়নি। অথচ জায়েদ- মিশার কমিটি বর্তমান কমিটির তুলনায় ভালো কাজ করেছিল।

সোহেল রানা প্রশ্ন তুলে বলেন, ভালো কিছু করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এ কমিটিতে সেটা দেখিনি। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকলে ভালো কিছু হবে কোথা থেকে?

এসময় আফসোস করে অভিনেতা বলেন, বর্তমান কমিটি থেকে জায়েদ-মিশার কমিটি অনেক ভালো ছিল। শিল্পীরা জানতো একটি কমিটি আছে, বিপদে পাশে পাওয়া যাবে।

খুব শিগগিরই রমজান মাস শুরু হতে চলেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জায়েদ-মিশার কমিটির সময় তিনশো পরিবারের কাছে পৌঁছে যেত ঈদের উপহার। বর্তমান কমিটি তাও করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এরপর জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ। কী অপরাধে তার সদস্যপদ বাতিল করা হলো বুঝতে পারছি না।

জায়েদের সদস্য পদ বাতিল করার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সোহেল রানা বলেন, একটা মানুষের ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। আমি যতদূর জানি, ভুলের জন্য কাউকে তিনবার শোকজ করতে হয়। তার উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে সবাই মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন সদস্যপদ বাতিল হবে কিনা। এ প্রসেসে জায়েদের সদস্য পদ বাতিল হয়েছে কিনা বলতে পারছি না।

এরপরই সোহেল রানা বলেন, যদি নিয়ম অনুযায়ী সদস্য পদ বাতিল হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু তা না হলে নির্বাচনের আগে জায়েদকে বের করে দেয়া ঠিক হয়নি। কারও সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা দূরত্ব থাকলে সেটা মিটিয়ে ফেলা উচিত, দূরত্ব আরও বাড়তে দেয়া ঠিক নয়।

সবশেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোহেল রানা বলেন, সহকর্মীর প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান দেখানো হয়নি। জায়েদ খানকে শিল্পী সমিতির পিকনিকে দাওয়াত না দেয়া তারই প্রমাণ। এটা একটা অভদ্রতা। বিষয়টা মোটেও আমার কাছে শোভনীয় মনে হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ২ মার্চ (শনিবার) অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে সাধারণ সভায় জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কমিটি। এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, একজন অবৈধ সাধারণ সম্পাদক কীভাবে আমার সদস্যপদ বাতিল করেন?