লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্যথা বেদনার বেশিরভাগই মনোদৈহিক। আসলে মনের দুঃখ কষ্ট ক্ষোভ হতাশা গ্লানি জমে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা বেদনারূপে প্রকাশ পায়। মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, ব্যাকপেইন, বাত ব্যথাসহ ক্রনিক রোগগুলোর অবস্থাও তা-ই।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মেডিটেশন করলে মনের ভেতর থেকেই অপ্রয়োজনীয় এ জঞ্জালগুলো বেরিয়ে যায়। বইতে শুরু করে নিরাময়ের সুবাতাস।
মেডিটেশনের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, গভীর মেডিটেশনের সময় একদল ধ্যানীর দেহে স্টিলের সুই ঢুকিয়ে দিলেও তাদের দেহে কোনও ব্যথাবোধ হয়নি। তারপর থেকে গত ৩ দশক ধরে মেডিটেশনের ওপর পরিচালিত অনেকগুলো গবেষণার মধ্য দিয়ে এ সত্যটিই ফুটে উঠেছে যে সব ধরনের ব্যথা নিরাময়ে (মাথাব্যথা, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পেটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, অপারেশন পরবর্তী ব্যথা, ঘাড়, হাত ও পায়ে ব্যথা, পিরিয়ড পূর্ব যন্ত্রণা) মেডিটেশন অব্যর্থ।
আমেরিকার বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী প্রিভেনশন পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ২৭ শতাংশ আমেরিকান শিথিলায়ন করে ব্যথা কমান। আর ২৩ শতাংশ আমেরিকান জানান, ডাক্তার তাদেরকে পেইনকিলারের পরিবর্তে শিথিলায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া জার্নাল অফ দি আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গভীর শিথিলায়ন বা মেডিটেশন পেইনকিলার ও সার্জারির মতোই দ্রুত ক্রনিক ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সার্জারি ও পেইনকিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই শিথিলায়ন বা মেডিটেশনের।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.