আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ময়ূর গ্রাম! এই গ্রামে গেলে আপনার আশপাশে ঘুরে বেড়াবে ময়ূর। মাঠে ঘাটে সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ। আর তাকে দেখার জন্যই এই গ্রামে বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এই গ্রামে। আগে এই গ্রামে দুটি ময়ূর ছিল।
তবে এখন মাত্র একটি ময়ূর রয়েছে। আর তার জন্যই গ্রামের নামও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আদতে মালদার এই গ্রামের নাম বিনতারা গ্রাম। তবে এই গ্রামে এসে ময়ূরটিকে একেবারেই বিরক্ত করা যাবে না।
যাবেন নাকি ময়ূর দেখতে! তাও আবার বর্ষার সময়, যখন ময়ূর রং বেরঙের পেখম তুলে নাচে। তাহলে ঘুরে আসতে পারেন মালদার গাজোল ব্লকের ময়ূর গ্রামে থুড়ি বিনতারা গ্রামে। আসলে এখন ময়ূরের সৌজন্যে গ্রামটির নামও বদলে গিয়েছে। এখানে গেলেই ময়ূরের দেখা মিলবে। মাঠে ঘাটে সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ। আর তাকে দেখার জন্যই এই গ্রামে বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এই গ্রামে। এলাকাবাসীর তরফে সাফ জানানো হয়েছে, যে কেউ এই গ্রামে এসে এই ময়ূরকে দেখতে পারেন। তবে তাকে কোনওভাবে বিরক্ত করা চলবে না।
মালদা জেলার গাজোল এবং পুরাতন মালদা ব্লকের সীমান্তবর্তী বিনতারা গ্রাম। এখন সেই গ্রামের নামই ময়ূর। কারণ এই গ্রামে গেলেই দেখা যাবে ময়ূর। মালদার গাজোল ব্লক থেকে আবার পুরাতন মালদা ব্লক থেকেও এই বিনতারা গ্রামে যাওয়া যায়। তবে গ্রামের নাম ময়ূর হল কেন, সেই বিষয়ে এলাকার এক বাসিন্দা নীরেনচন্দ্র সাহা বলেন, “প্রায় আট বছর আগেকার কথা, গ্রামের এক আদিবাসী যুবক তাল মুর্মু কোথা থেকে দু’টি ময়ূরের ডিম নিয়ে এসেছিল। তাঁরা বাড়িতে মুরগি পালন করছিলেন। তাঁরা মুরগির ডিমের সঙ্গে ময়ূরের দুটো ডিম রেখে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাচ্চা ফোটে। মুরগির বাচ্চার সঙ্গে দু’টি বাচ্চা বড় হচ্ছিল।”
তাঁর দাবি, যখন বাচ্চাগুলো ছোট তখন মুরগির বাচ্চার সঙ্গেই ঘুরে বেড়াত। প্রথমে গ্রামের মানুষ কিছুই বুঝতে পারেনি। কিন্তু এগুলো বড় হতেই ময়ূরের চেহারা ধারণ করতে শুরু করে। গ্রামের ঝোপ জঙ্গলে তারা ঘুরে বেড়াত। ময়ূরগুলির যখন মাস ছয়েক বয়স, তখন একটি ময়ূর মারা যায়। কিন্তু আর একটি ময়ূর এখনও জীবিত রয়েছে। গ্রামের চারপাশে সে ঘুরে বেড়ায়। গ্রামের মানুষরা তাকে খুব ভালোবাসেন। সবাই খেতে দেন। বর্ষাকালে সকাল এবং বিকেলে মেঘ উঠলেই পেখম মেলে নাচতে দেখা যায় ময়ূরটিকে।
শাড়ি পরে তুমুল ড্যান্স দিলো দুই সুন্দরী যুবতী, মুহূর্তে ভাইরাল
এলাকার এক গৃহবধূ সুচিত্রা সরকার বলেন, “এই গ্রামে আমার বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই ময়ূরটিকে দেখছি। আগে দু’টি ময়ূর ছিল, তার মধ্যে একটি মারা গিয়েছে। বর্তমানে একটি রয়েছে। ময়ূরের আসল রূপ দেখা যায় বর্ষার সময়, যখন সে পেখম মেলে ঘুরে বেড়ায়। সে সময় পুকুর পাড়ে হাঁসগুলোর সঙ্গে খেলা করতে দেখা যায় তাকে। ছোট থেকে বড় সকলেই এই ময়ূরটিকে ভালোবাসেন। এই ময়ূরের জন্যই এখন আমাদের গ্রাম ময়ূর গ্রাম নামেই প্রসিদ্ধ হয়েছে। ময়ূরটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। আগে সিনেমায় দেখলেও, এখন সামনে থেকেই সকাল বিকেল ময়ূর দেখতে পাই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।