জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Table of Contents
বুধবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন প্রাত্যহিক সমাবেশে শপথ বাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার পেছনে লক্ষ্য
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাম্যের বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের একতা, সংহতি, দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব ও সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরির লক্ষ্যে এই শপথ পাঠ কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত শপথ
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের নিচের শপথ বাক্যটি পাঠ করতে হবে:
**”আমি শপথ করিতেছি যে মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি।
আ-মি-ন।”**
এই শপথের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা, দায়িত্ববোধ এবং মানবিক গুণাবলি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কেন এই উদ্যোগ?
এই পদক্ষেপকে ‘জনস্বার্থে জারি করা নির্দেশনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা মনে করছে, শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমান প্রজন্মকে দুর্নীতি, বৈষম্য এবং অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সচেতন করে গড়ে তুলতে নিয়মিত শপথ পাঠ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়মিত শপথ পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠলে তারা ভবিষ্যতে নৈতিকভাবে দৃঢ় এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। পাশাপাশি, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও জাতিগত সংহতিও আরও মজবুত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।