আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখতে যাচ্ছে উত্তর আমেরিকা। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই গ্রহণ ঘটতে যাচ্ছে। এসময় চাঁদ কিছু অঞ্চলে চার মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সূর্যকে পূর্ণরূপে গ্রাস করে রাখবে। এই সূর্যগ্রহণটি এদিন প্রথমে মেক্সিকো থেকে দেখা যাবে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে কানাডায় দৃশ্যমান হবে। বিরল এই ঘটনার সাক্ষী হতে অপেক্ষায় রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে সেন্ট্রাল টেক্সাসের ফ্রেডেরিকসবার্গ শহরসহ ‘পাথ অব টোটালিটি’ বরাবর জড়ো হচ্ছেন অনেকে। সেখানে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার পরই এই গ্রহণ ঘটবে৷
এসময় চাঁদ প্রথম সূর্যকে পুরোপুরিভাবে ঢেকে ফেলতে শুরু করবে। পূর্ণ গ্রাস করার মুহুর্ত পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৮০ মিনিট সময় লাগবে। এরপর এর বিপরীত প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সময় লাগবে আরও ৮০ মিনিট।
এবারের সূর্য গ্রহণটি মোট ৪ মিনিট এবং ২৮ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হবে যা ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া গ্রহণের সময়কেও ছাড়িয়ে যাবে। ওই বছরের সূর্যগ্রহণ ২ মিনিট এবং ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
মাইকেল জেইলার নামে এক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে আল-জাজিরা। নিউ মেক্সিকোর এই বাসিন্দা বিশ্বব্যাপী ১০টি পূর্ণ গ্রহণ দেখেছেন। এবার অপেক্ষায় রয়েছেন ১১ তম পূর্ণ গ্রহণ দেখার।
জেইলার বলেছিলেন, ‘যারা প্রথমবারের মতো পূর্ণ গ্রহণ দেখবে তারা হতবাক হয়ে যাবে। জীবনের একটি অন্যতম অভিজ্ঞতা হবে এটি।’
নাসার মতে, পূর্ণ গ্রহণ যেকোনও স্থানে ১০ সেকেন্ড থেকে সাড়ে সাত মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
‘পাথ অব টোটালিটি’র আশপাশের শহরের মধ্যে মেক্সিকোর জাতলান, টেক্সাসের সান আন্তোনিও, অস্টিন এবং ডালাস, ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিস, পেনসিলভানিয়ার ক্লিভল্যান্ড, ওহাইও, এরি এবং বিখ্যাত জলপ্রপাতের স্থান নিউ ইয়র্ক নায়াগ্রা ফলস ও অন্টারিও নায়াগ্রা ফলসসহ কুইবেকের মন্ট্রিল রয়েছে।
‘পাথ অব টোটালিটি’র বাইরেও উত্তর আমেরিকায় একটি আংশিক গ্রহণ দৃশ্যমান হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ ‘পাথ অব টোটালিটি’ এলাকায় বাস করে। সেখানে আরও ৫০ লাখ মানুষ ভ্রমণ করবে বলে আশা করছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা।
সূর্যগ্রহণের সময় চোখের ক্ষতি রোধে দর্শনার্থীদের প্রতিরক্ষামূলক সোলার গ্লাস বা সৌর চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।