বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামী ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে, যা আমেরিকা মহাদেশ থেকে দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণ খুবই বিরল, যে কারণে এটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা হয়। সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই বিশেষ উপলক্ষের স্বাক্ষী থাকতে চান। মেক্সিকো উপকূল থেকে শুরু করে আমেরিকা ও কানাডা পর্যন্ত এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
আগামী ৮ এপ্রিল আমেরিকায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এটি হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটে যখন সূর্য সম্পূর্ণরূপে চন্দ্র দ্বারা আচ্ছাদিত হয় এবং এর কোন আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না। এই সূর্যগ্রহণ খুব বিশেষ হতে চলেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সূর্যগ্রহণ কেন বিশেষ হত চলেছে।
১৮০৬ সাল থেকে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ
৮ এপ্রিল ঘটতে চলা সূর্যগ্রহণটি ১৮০৬ সাল থেকে মার্কিন ইতিহাসে দীর্ঘতম হবে। এই পূর্ণগ্রহণ ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ড স্থায়ী হবে। ১৮০৬ সালের টেকুমসেহ গ্রহণের পর আর এমন অভিজ্ঞতা হয়নি মার্কিনবাসীর।
সূর্যের করোনা দেখা যাবে
চাঁদ যখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে তখন তাকে বলা হয় সমগ্রতা। এটা খালি চোখে দেখা যায়। এই সময়টা কয়েক মিনিটের। এই সময়ে আমরা মহাকাশে কালো বলয়ের পিছনে সূর্যের করোনা দেখতে পাই। কারণ সূর্যের ক্রিয়াকলাপ তার শীর্ষে রয়েছে, এটি বেশ বিশেষ হবে। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হলেই ফুটে ওঠে এক অনির্বচনীয় আলোক বলয়। সেই বলয় আদতে, সূর্যের বহিঃমণ্ডলের প্রান্তিক অংশ। বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলা হয় ‘করোনা’। তবে গ্রহণ না হলে পৃথিবী থেকে তার দেখা মেলে না।
ধূমকেতু দৃশ্যমান হতে পারে
‘ডেভিল ধূমকেতু’ (12P/Ponce-Brookes) পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় দৃশ্যমান হতে পারে। তবে এর দেখা মিলবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সময়ে দূরবীনের মাধ্যমে দেখার চেষ্টা করুন।
১৪ বার চেষ্টার পরও গর্ভধারণে ব্যর্থ, সালমানের সাহায্যে সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি
সবচেয়ে দৃশ্যমান সূর্যগ্রহণ
উত্তর আমেরিকায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় প্রায় ৪০ কোটি মানুষ এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের পথে বাস করে। এটি ২০১৭ সালের সূর্যগ্রহণের চেয়ে অনেক বড় সংখ্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।