সমাবেশের নামে বিএনপির সহিংসতা করার পরিকল্পনা আছে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী

জুমবাংলা ডেস্ক : সমাবেশের নামে বিএনপির সহিংসতা করার পরিকল্পনা আছে। কারণ বিএনপি-জামায়াতের এমন অতীত রেকর্ড আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী

তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। এটা স্বাভাবিক। এর কারণ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত যখনই এ রকম কোনো সমাবেশ ডেকেছে, আমরা দেখেছি তারা অতীতেও অধিকাংশ সময়ে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। সমাবেশে এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে বা যদি ঘটে তাহলে মানুষের জানমাল রক্ষার নিরাপত্তার দায়িত্বটা যেন নেওয়া যায়। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে তাদের পাশে রাজপথে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সরকারকে সহযোগিতা করবে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তির সপক্ষে ও মানুষের অধিকারের পক্ষে। সেই দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সব সময় পালন করে এসেছে। তাই সরকারের পাশাপাশি দলও দায়িত্ব পালন করবে।

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সর্ম্পকে তিনি বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থেই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কাজ করি। বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো ধরনের সহিংসতাকে প্রতিহত করবার জন্যই আমাদের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ। কারণ এটি আমাদের দায়িত্ব।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি একটা সমাবেশ ডেকেছে। বিষয়টি কতটুকু সঠিক আমি তা জানি না। তাদের নেতাকর্মীরা বলেছে তাদের পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে আসতে। তারা প্রয়োজনে জান দিয়ে দেবে। তাহলে এ রকম প্রশ্ন উঠছে কেন? তাদের যদি শুধু সমাবেশই হয় তাহলে জান দিয়ে দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন, নিশ্চয় তাদের কোনো পরিকল্পনা আছে ব্যাপকহারে সহিংসতা করার।

দীপু মনি বলেন, আগামী ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক বই পৌঁছাবে। কিন্ত এই বই নিয়ে একটি চিহ্নিত মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিশেষ করে কোচিং ব্যবসায়ী এবং নোট গাইড বই ব্যবসায়ীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত নতুন শিক্ষাক্রম, ১ জানুয়ারি বই উৎসব এবং বিনামূল্যে বই বিতরণ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচার এবং গুজবে কান দেবেন না।

বিস্ময়কর এই ফুল দেখতে হুবহু পাখির মত

এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।