জুমবাংলা ডেস্ক : সমবায় সমিতির নামে চার শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রতারণা চক্রের মূলহোতা ও ৭টি প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
র্যাব-৩ স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজাহার হোসেন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সমবায় সমিতির নামে চার শতাধিক গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারণা চক্রের মূলহোতা ও ৭টি প্রতারণা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক এই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ । তিনি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার তাজাম্মল হকের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানের বরাতে র্যাব জানায়, সে ২০১১ সালে মেঘনা মাল্টিপারপাস লিমিটেড নামে একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৩ সালে উক্ত সমবায় সমিতির গ্রাহক সংখ্যা চার শতাধিক ছাড়িয়ে গেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামি গ্রাহকদের জমাকৃত কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আদালত আইন এবং সমবায় সমিতি আইনে চেক জালিয়াতিসহ প্রতারণার অভিযোগে মোট ৭টি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাগুলোর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে সমবায় সমিতি আইনে দায়ের করা ২০১৪ সালের একটি মামলায় বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত, চাঁদপুর কর্তৃক ২০২০ সালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি গ্রাহকদের টাকা লুট করার পর হতেই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল। সে নিজের প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন করে ছদ্মনাম ব্যবহার করে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থান করতো। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।