আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত সপ্তাহে ইতালির একটি দ্রুতগতির ট্রেনের যাত্রীরা বিভ্রান্তির মুখে পড়ে। কারণ ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা আগে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছিল। উদ্দেশ্যে ছিল সময়মতো পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছনো। ট্রেনটির পরিচালন সংস্থা ট্রেনিতালিয়া সোমবার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গত শুক্রবার রোমের টারমিনি স্টেশনটি ছিল যাত্রীতে ভরপুর। মানুষ সেদিন জাতীয় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে স্থানীয় বাস, ট্রাম ও পাতাল রেল স্থগিত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিল। সৌভাগ্যক্রমে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেনোয়ার উদ্দেশে দ্রুতগতির ‘সিলভার অ্যারো’ ট্রেনটি চলাচল করছিল। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল।
কিন্তু যখন যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার সময় হয়, তখন অনেক যাত্রী সময়সূচির বোর্ডে ট্রেনটির খোঁজ করে ব্যর্থ হয়। পরে তারা জানতে পারে, নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে ৩টায় ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।
রেলওয়ে অপারেটর ব্যাখ্যা করেছে, নির্ধারিত লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় ট্রেনটি ধীরগতির পথে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তাই সময়মতো পৌঁছতে ট্রেনটির ৫০ মিনিট আগে ছেড়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়।
এদিকে লা স্টাম্পা দৈনিকের একজন সাংবাদিক ছিলেন সেই ট্রেনের যাত্রীদের একজন, যিনি সময়সূচির পরিবর্তনের বিষয়ে ফোনে কোনো বার্তা পাননি। পত্রিকাটি জানায়, ট্রেনটি যখন স্টেশন ছেড়েছিল, তখন এর অর্ধেক যাত্রীশূন্য ছিল।
অন্যদিকে ট্রেনিতালিয়া জোর দিয়ে বলেছে, ‘স্বল্পসংখ্যক’ যাত্রী বার্তাটি পায়নি। লা স্টাম্পা পত্রিকা খানিকটা বিদ্রুপ করে বলেছে, যাত্রীরা ট্রেনটি মিস করলেও যেহেতু ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে পৌঁছেছে, তাই রেলওয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি ‘সময়মতো’ পৌঁছনো ট্রেন হিসেবে গণ্য হবে, যদিও এটি আসলে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে ছেড়ে গিয়েছিল।
ট্রেনিতালিয়ার একজন মুখপাত্র জানান, যারা ট্রেনটি মিস করেছিল, তাদের বিকেল ৪টা ৫৭ মিনিটে পরবর্তী ট্রেনে ওঠার, অথবা টিকিটের দাম ফেরত নেওয়ার সুযোগ ছিল।
ট্রেনিতালিয়ার তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে তাদের মাঝারি ও দীর্ঘ দূরত্বের লাইনের ট্রেনগুলো গড়ে প্রায় ৯ মিনিট দেরি করে চলেছে। এই সংখ্যা আঞ্চলিক ট্রেনের জন্য দুই মিনিট ও আন্তর্জাতিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রায় সাত মিনিট।
সূত্র : এএফপি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।