বিনোদন ডেস্ক : কে বসবেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে— তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। এর আগে সাধারণ সম্পাদকের ওই চেয়ারে বসতে পারবেন না জায়েদ খান বা নিপুণ আক্তারের কেউ-ই। কিন্তু এরমধ্যেই শনিবার সেই চেয়ারে বসে অফিস করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ, যার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নায়ক সাইমন সাদিকের ফেসবুক থেকেই ছবিগুলো ভাইরাল হয়। ছবিগুলোর ক্যাপশনে সাইমন লেখেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিং।’
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মহলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়। তবে অনেকের মতে, আদালত অবমাননা করেছেন নিপুণ। আইনি সমাধান না হতেই নিপুণ কীভাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন? প্রশ্ন তাদের।
গতকাল দিনভর আলোচনা-সমালোচনার পর এ নিয়ে মুখ খুললেন নিপুণ। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের আগে কেন চেয়ারে বসলেন তার ব্যাখ্যা দিলেন নিপুণ নিজেই।
গণমাধ্যমের কাছে নিপুণ বলেন, ‘একটা সংগঠন পড়ে থাকলে হবে না। আমি যেটা করছি, সেটা আপনি হলেও করতেন। আজ শিল্পী সমিতিতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, মিজু আহমেদ ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী, দিতি আপার মৃত্যুবার্ষিকী, সংগঠনের এসব কাজ করতে হবে না? শুধু দূর থেকে মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে কথা বললেই হবে? সামনে আসছে রোজা। বেশ কয়েকজনের নিয়মিত খাবার আয়োজন করতে হবে, কর্মচারীরা আছে। শিল্পীরা রয়েছে, যাদের দেখতে হবে। এভাবে সমিতি থামিয়ে রাখলে হবে? সমিতি চলছে আমি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’
নিপুণ জানান, চেয়ারে বসা মূখ্য নয়। একজন শিল্পী হিসেবে সেদিন সমিতির মিটিংয়ে হাজির হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কোনও পদ ধারণ করে নয়। শিল্পী সমিতির কর্মচারীদের বেতন বাকি এটা কে দেবে? আমরাই সম্মিলিতভাবে দিচ্ছি। শুধু সমালোচনা করলে তো হবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।