জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের নামে দৈনিক মানবজমিনে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করা হয়েছে। এরপর আরও কয়েকটি গনমাধ্যমে আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের ওপর নাতিদীর্ধ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েচে।
এর প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের অভিযোগ খন্ডন করেছেন ডিএমপির সাবেক এই কমিশনার। গণমাধ্যমকে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ইস্কাটনের ফ্ল্যাটটি তাঁদের কেনা প্রথম ফ্ল্যাট।
পরে তাঁর ছেলেমেয়েদের ধানমন্ডির স্কুলে ভর্তি করান। তখন ছেলেমেয়ের সুবিধার জন্য ধানমন্ডিতেও একটি ফ্ল্যাট কেনেন। বৈধ আয়ে এসব জমি কেনা হয়েছে।
তিনি দাবি করেছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর স্ত্রী এবং তিনি অনেক সম্পদের মালিক। তাঁর এক ছেলে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরি করেন। ছেলের বউ একটি ব্যাংকে উচ্চ বেতনে চাকরি করেন। তাঁর স্ত্রীরও বুটিকের ব্যবসা রয়েছে।
এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরীতে আছাদুজ্জামানের মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, তাঁর মেয়ে চিকিৎসক, জামাতাও চিকিৎসক। ওই ফ্ল্যাট বৈধ আয়ে তাঁরা কিনেছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি রয়েছে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে। এছাড়াও, আছাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর আফতাবনগরে ২১ কাঠা জমি রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বৈধ আয়ে এসব জমি কেনা হয়েছে। আফতাবনগরে ২১ কাঠার প্লটের মধ্যে তাঁদের মালিকানা রয়েছে মাত্র ৭ কাঠার। বাকি জমির মালিক তাঁর দুই শ্যালিকা।
আছাদুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, পেশাগত জীবনে তিনি কোনো অনিয়মের আশ্রয় নেননি। যা কিছু করেছেন বৈধ অর্থে করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক বছর আগেও একটি চক্র তাঁকে বিপদে ফেলার জন্য দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছিল। পরে দুদক অনুসন্ধান করে সত্যতা পায়নি। এখন আবার সেই চক্র তাঁকে বিপদে ফেলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।