জুমবাংলা ডেস্ক : হত্যা না মৃত্যু? জানতে চান স্বজনরা। জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে ভাসার নেশা থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুর রহমান বনে যান জাহাজের ক্রু। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন না হওয়ায় সমুদ্র থেকে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে। পরিবারের অভিযোগ, বাংলাদেশি সহকর্মীদের হাতেই খুন হয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও মিলেছে শরীরে আঘাতের চিহ্ন।
২০২১ সালের পহেলা অক্টোবর এমটি কনসারটো সামুদ্রিক জাহাজে ক্রু হিসেবে যোগ দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুর রহমান। এর ৮ মাস পর জাহাজ থেকে খবর আসে মারা গেছেন তিনি। তার মরদেহ রাখা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি হাসপাতালের মর্গে।
এর প্রায় ৪০ দিন পর মরদেহ আসে ঢাকায়। বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ গ্রহণ করে অপমৃত্যুর মামলা করে।
রহমানের পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যু নিয়ে পরিবারকে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে আসছিল জাহাজের ক্যাপ্টেন শফিক। কখনো বলা হয়, বিষাক্ত বাতাসে মৃত্যু হয়েছে, কেউ বলেন, শ্বাসকষ্ট ও মাথায় আঘাত, আবার কখনো বলা হয় অচেতন অবস্থায় জাহাজের ডেকে পড়েছিলেন রহমান।
কিন্তু সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এরপর জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ সন্দেহভাজন জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে রহমানের পরিবার।
দেশের বাইরে অন্যদেশের জলসীমায় বাংলাদেশিদের হাতে আরেক বাংলাদেশির খুন হওয়ার অভিযোগ উঠলে তার কি তদন্ত হবে না? মঙ্গলবার এ বিষয়ে উচ্চ আদালত বলেন, দেশে তদন্ত ও বিচার হতে কোন বাধা নেই। হত্যা মামলাটি বিমানবন্দর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, তার ভাই ছবি তুলেছিলেন। সেখানে আমরা স্পষ্ট দেখেছি শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে।
বিদেশি একটি কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এমটি কনসারটো’ জাহাজের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।