জুমবাংলা ডেস্ক : বান্দরবানের রুমা উপজেলায় রাতের আঁধারে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক শসস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ কেএনএফ এর একটি শসস্ত্র গ্রুপ অর্তকিতভাবে এসে রুমা উপজেলা মসজিদ ঘেরাও করে মসুল্লিদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পরে উপজেলা অফিসের হামলা, রুমা সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা পুলিশের কাছ থেকে এসএমজিসহ চারটা অস্ত্রসহ ৩৮০ রাউান্ড গুলি নিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ইফতারের কিছুক্ষণ পরে নামাজ পড়তে যান সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার কর্মচারীরা। এ সময় আনসারের ৪ সদস্য ব্যাংকের পাহারায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় ৬০-৭০ জন অস্ত্রধারী ব্যাংকে আক্রমণ করে। প্রথমে তারা ব্যাংকের পাহারায় থাকা আনসার সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তারা ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে লকার ভেঙে টাকা লুট করে।
ব্যাংক থেকে টাকা লুট করার সময় অস্ত্রধারীদের ৪০ থেকে ৫০ জন বাইরে পাহারায় ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা আনসারের ৪টি অস্ত্রও নিয়ে যায়। ব্যাংক লুট করতে অস্ত্রধারীরা প্রায় আধা ঘণ্টা সময় নেয় বলেও জানা গেছে।
রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈবং মারমা বলেন, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা নামাজের যাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা লুট করে। এ সময় ৬০ থেকে ৭০ জন অস্ত্রধারী ছিল বলে শুনেছি।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে আমরা কাজ করছি। ব্যাংক থেকে ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে তা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আসলে বলা যাবে। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করে রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।