জুমবাংলা ডেস্ক : অভিযোগ উঠেছে যে ব্যাংকগুলো যথাযথভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি এবং বিক্রয়-পরবর্তী নানা সেবা দিচ্ছে না। বিশেষ করে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের উৎসে কর কর্তনের সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ বেশি।
সুখবর এই যে বাংলাদেশ ব্যাংক সময়মতো সঞ্চয়পত্রের যথাযথ সেবা প্রদানসহ বিনা খরচে উৎসে কর কর্তনের সনদ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।
এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতাধীন সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয় বন্ড বিক্রয় এবং বিক্রয়-পরবর্তী সেবার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
তারপরও সঞ্চয় স্কিমের অর্জিত মুনাফা থেকে উৎসে কর কর্তনের সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের হয়রানি, বাড়তি মাশুল আদায়, সঞ্চয়পত্র ইস্যু-পরবর্তী সেবা (যেমন গ্রাহকের মুঠোফোন নম্বর সংশোধন/পরিবর্তন, ব্যাংক হিসাব সংশোধন, সঞ্চয়পত্রের অনুলিপি ইস্যু, উৎসে কর কর্তনের সনদ প্রদান ইত্যাদি) প্রদানের ক্ষেত্রে বিলম্ব করাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া পেনশনের সঞ্চয়পত্রের বিধিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করে অনুপযুক্ত ব্যক্তির কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রিরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র বিক্রির পর গ্রাহকদের মুঠোফোন নম্বর সংশোধন বা পরিবর্তন, ব্যাংক হিসাব সংশোধন, সঞ্চয়পত্রের অনুলিপি ইস্যু, উৎসে কর কর্তনের সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো কালক্ষেপণ করা যাবে না।
এ ছাড়া কোনো মাশুল ছাড়া সঞ্চয় স্কিম থেকে অর্জিত মুনাফা হতে উৎসে কর কর্তনের সনদ দ্রুততম সময়ে প্রদান করতে হবে বলেও জানানো হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) সঞ্চয়পত্রের নিট বা প্রকৃত বিক্রি ইতিবাচক থাকলেও পরের তিন মাসে (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) তা ঋণাত্মক হয়ে গেছে।
অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর সময়ে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে ভাঙানোর প্রবণতা ছিল বেশি। এর ফলে শেষ তিন মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি (বিনিয়োগ) ঋণাত্মক ধারায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ (বিক্রি) ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। অক্টোবরে নিট বিক্রি ঋণাত্মক ছিল ১ হাজার কোটি টাকার।
সেপ্টেম্বরে ঋণাত্মক ছিল ১৪৭ কোটি টাকা। যদিও অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভাঙানোর প্রবণতা কম থাকায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ বেশ বেড়েছিল।
ওই দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) নিট বিক্রি ৫ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস (জুলাই-নভেম্বর) শেষে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।