২০১৫-য় লেখা গান ইউ টিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে মাদকের বিরোধিতায় সোচ্চার হলেন সুরজিৎ-রূপম। গানের কথায় মাদক সেবনের ভয়ানক পরিণতির ছবি।
‘ছেড়ে যাওয়া ভুলে যাওয়া/ ভাঙা ঘুম আর ভয়ের স্রোতে/ দুঃস্বপ্নের দু’হাতে/
সাপের ছোবলে রাংতার মোড়কে/ নিষিদ্ধ রাসায়নিক সড়কে /জ্যান্ত মৃতদেহের এ মড়কে’…
মাদক-বিরোধী এই গান শোনা যাচ্ছে রূপম ইসলামের ইউটিউব চ্যানেলে। গানের কথায় মাদক সেবনের ভয়ানক পরিণতির ছবি। রূপম ইসলাম ও সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই গলা মিলিয়েছেন এই গানে। এই যৌথ উদ্যোগ মাদক সেবনের বিরুদ্ধে কতটা সচেতনতা গড়ে তুলতে পারবে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে, জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল দু’ই গায়কের সঙ্গে।
কেন লেখা হয়েছিল মাদক-বিরোধী গান? রূপমের কথায়, ‘‘২০১৫-য় কলকাতা পুলিশের নারকোটিক্স বিভাগের মাদক-বিরোধী এক মিছিলে শামিল হয়েছিলাম। সে দিনই আমার আর সুরজিৎদার কাছে এই বিষয়ে গান লেখার অনুরোধ আসে। ২০১৫ সালে এই গানটা লেখা হলেও কেউ শোনেননি। বিশেষ দিনের কথা মাথায় রেখেই আমি আর সুরজিৎদা গানটাকে আমার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিলাম। আমার বন্ধু অন্তরূপ চক্রবর্তী ও সায়ন বিশ্বাস এই গানের চলমান ছবি করেছেন।’’ একটা গানের মাধ্যমে কি প্রজন্মকে নেশার বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা সম্ভব? রূপমের উত্তর ‘‘নেশা করার পিছনে এক ধরনের পরিস্থিতি ও মানসিকতার যোগাযোগ ভেবে নেওয়া হয়। চেষ্টা করেছি
আমার জীবন দিয়ে বোঝানোর যে, এটা সত্যি নয়।’’ রূপমের ব্যাখ্যা, ‘‘অনেকেই মনে করেন যাঁরা রক গান করেন, তাঁরা নেশা না করে গাইতে পারেন না। আমার সম্পর্কেও অনেকের এমন ধারণা রয়েছে। প্রথমে আমিও মাদক নেওয়ার অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। সবিনয়ে প্রত্যাখ্যানও করেছি। পাশ্চাত্য ধারার গান গাইতে আমার নেশা করার প্রয়োজন হয় না।’’
নারকোটিক্স বিভাগ এই মাদক-বিরোধী গানের জন্য রূপমের সঙ্গেই কেন যোগাযোগ করেছিল? প্রস্তাব পাওয়ার পর একই প্রশ্ন ছিল রূপমেরও। উত্তরে সেই পুলিশকর্তা জানিয়েছিলেন, কলকাতার সব বিখ্যাত মানুষেরাই ওঁদের তালিকায় রয়েছেন। ওঁরা জানেন, কে কী নেশা করছেন। ওঁদের সেই তালিকায় রূপমের নাম নেই।
কী ভাবে গান লেখা হল, সে সম্পর্কে সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথমে গানের কিছুটা অংশ লিখে সুর করে রূপমের কাছে পাঠিয়েছিলাম। বাকি লেখা ও সুর করার কাজটা রূপমই করেছে।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।