বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : শনির চাঁদ টাইটানের নতুন ছবি তুলে পাঠিয়েছে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ছবিতে ফুটে উঠেছে উপগ্রহটির সবুজ-নীলাভ বায়ুমণ্ডল আর ভাসমান মেঘ, যা মহাকাশ থেকে দেখা পৃথিবীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।
মিল্কিওয়ে ছায়াপথে যতগুলো গ্রহ-উপগ্রহ আছে, তার মধ্যে চোখের দেখায় টাইটানের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি মিল পৃথিবীর; সমুদ্র, নদী, হ্রদ আর মেঘও আছে ওই উপগ্রহে। তবে পানি নয়, টাইটানের ‘জলাধারগুলোর’ মূল উপাদান তরল মিথেন ও ইথেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট লিখেছে, চোখের দেখায় পৃথিবীর সঙ্গে অনেক মিল থাকলেও রাসায়নিক গঠন কাঠামোর পার্থ্যক্যের কারণে মহাকাশবিজ্ঞানীদের কাছে আলাদা কদর আছে টাইটানের। বিজ্ঞানীরা শনির চাঁদে ভিনগ্রহবাসীর জীবনধারণের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা করছেন।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে টাইটানের নতুন ছবিগুলো নাসা পেয়েছে ৫ নভেম্বর; কিন্তু নিজস্ব ব্লগে ছবিগুলো প্রকাশ করেছে ১ ডিসেম্বর।
টাইটানের নতুন ছবি দেখার পর মহাকাশ বিজ্ঞানী কনর ডিক্সন ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, “প্রথম দেখায় ব্যাপারটা ছিল অসাধারণ।”

টাইটানের নতুন ছবিগুলো তুলেছে ওয়েব টেলিস্কোপের এনআইআরক্যাম বা নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরা। ইনফ্রারেড আলো চিহ্নিত করতে স্পেস টেলিস্কোপের মূল হাতিয়ার ওই এনআইআরক্যাম। টাইটানের উত্তর গোলার্ধে ভাসমান মেঘ উঠে এসেছে ওয়েব টেলিস্কোপের ছবিতে।
টাইটানের বায়ুমণ্ডলে মেঘের উপস্থিতি আছে– এটা আগেই ধারণা করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ওয়েবের নতুন ছবির মাধ্যমে নিশ্চিত হল তাদের সেই তত্ত্ব।
সিনেট জানিয়েছে, ওয়েব ছবি পাঠানোর দুদনি পরেই হাওয়াইয়ের ‘কেক অবজার্ভেটরি’র টেলিস্কোপ দিয়ে টাইটানের বায়ুমণ্ডলে মেঘের উপস্থিতি চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে কেক টেলিস্কোপে আর ওয়েবের ছবিতে একই মেঘ দেখা যাচ্ছে কি না, নাকি নতুন মেঘ তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চেয়ে দ্রুত গতিতে মেঘ তৈরি হয় টাইটানের বায়ুমণ্ডলে; মিলিয়েও যায় দ্রুত।
সিনেট জানিয়েছে, টাইটানের বায়ুমণ্ডল নিয়ে আরও তথ্য উপাত্ত পাঠাবে ওয়েব টেলিস্কোপ; তবে সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel