সংকট কাটেনি সয়াবিন তেলের, পণ্যের দাম স্থিতিশীল

Oil

জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় একমাস ধরে চলা সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। তবে এ বছর রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্যের দাম অনেকটাই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ, মুরগির দামও কিছুটা কমেছে।

Oil

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা দেখা গেছে।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে সয়াবিন তেলের দেখা মেলেনি। সরবরাহ সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু বিক্রেতা ১৭৫ টাকা লিটারের তেল ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন।

ক্রেতাদের অভিযোগ, অনেকে তেলের বোতল কেটে ড্রামে ঢেলে চড়া দামে খুচরায় বিক্রি করছেন।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাস দুই আগে চিনির দাম উঠেছিল ১২৫-১৩০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা কেজি দরে। গত বছর রমজানেও এ দামে ছোলা কেনা গেছে। একইভাবে খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকা ও মসুর ডাল ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে দেখা যায়, পাঙ্গাশ মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নলা মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং তিন থেকে চার কেজি ওজনের রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছোট মাছের মধ্যে চাষ করা কৈ মাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বড় গুলশা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা চাল বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। চিকন চাল (মিনিকেট) আগের চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মগবজারের বিক্রেতা মো. ইসলাম বলেন, ‘এবার রোজা উপলক্ষে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বরং ছোলার দাম পাইকারিতে কিছুটা কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এখন সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।’

বাধ্যতামূলক অবসরে অতিরিক্ত সচিব ফারজানা

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। শিম মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।