আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার। দেশটিতে নিজের দুই সদ্যোজাত সন্তানকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছেন এক নারী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ওই নারীকে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তার এই আচরণের কারণ।
পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে ওই নারী জানিয়েছেন, তার ১২, ১০ ও ৮ বছরের তিন সন্তান রয়েছে। আর্থিক সঙ্গতিও খুবই কম। ফলে, ওই দুই সদ্যোজাতদের প্রতিপালন তিনি যথাযথভাবে করতে পারতেন না। বাধ্য হয়ে খুন করার সিদ্ধান্ত নিলেও ফেলে দিতে পারেননি পেটের দুই সন্তানকে। তাই ফ্রিজারে ‘জমিয়ে’ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
তদন্তে জানা গেছে, ২০১৮ সালে চতুর্থ সন্তানটি জন্মানোর এক দিনের মধ্যে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন ওই নারী। তারপর ঘরের ফ্রিজারে রেখে দেন মরদেহ। সেটি ছিল কন্যাসন্তান। একই পরিণতি হয় ২০১৯ সালে জন্ম নেওয়া পুত্রসন্তানটিরও। ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন, তার স্ত্রী তাকে বলেছিলেন দু’বারই তিনি গর্ভপাত করিয়েছেন।
গত মে মাসে স্থানীয় প্রশাসনের এক সমীক্ষায় জানা যায়, ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রায় ২২৩৬টি শিশুর তথ্য সরকারের তালিকায় নথিভূক্ত করানো হয়নি। শুধু হাসপাতালে জন্মের প্রমাণ রয়েছে। সেই তালিকায় এই নারীর দুই সন্তানের কথাও ছিল। এ সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করতে গিয়েই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সূত্র: কোরিয়া টাইমস, কোরিয়া হেরাল্ড, ডেইলি মেইল, সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।