আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথায় আছে সন্তানের জন্য বাবা-মা জীবন দিতেও প্রস্তুত। এর দৃষ্টান্ত বিশ্বে অনেক আছে। নতুন করে তারই যেন এক অনন্য নজির গড়লেন এক বাবা। দুই মেয়ে সন্তানকে বাঁচাতে জীবন বাজি রেখে খালি হাতে চিতাবাঘের সঙ্গে লড়েছেন। ভারতের গুজরাটে ঘটেছে এ ঘটনা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩ টায় রাজ্যের ফুলপুর গ্রামে আনকিল দামুরের বাড়িতে এক চিতাবাঘ ঢুকে। বন কর্মকর্তারা বলেন, সেই সময় দামুরপ্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দরজা খুলে বাইরে যান। কয়েক মিনিট পর দামুর এসে দেখেন চিতা বাঘের থাবায় তার তিন বছরের মেয়ে বানশা।
দেবগড় বাড়িয়ার সহকারী বন সংরক্ষক প্রশান্ত জানান, সেই মুহূর্তে সাহসী দামুর ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন যেন চিতাবাঘটি পালাতে না পারে। এসময় বানশাকে ওই চিতাবাঘ মুখ থেকে ফেলে দেয় এবং পাঁচ বছরের কাভিয়াকে তুলে নেয়।
এবার কোনোভাবে দরজা দিয়ে কাভিয়াকে মুখে নিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় চিতাবাঘ। তবে সন্তানকে বাঁচাতেই হবে- এ প্রতিজ্ঞায় দামুর অন্ধকারের মধ্যেই চিতাবাঘের পিছু নেয়। অন্ধকার বনে খালি হাতেই চিতাবাঘকে আটক করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে প্রশান্ত বলেন, কিছুক্ষণ ওই চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করার পর দামুর চিতাবাঘের দিকে এক টুকরা কাপড় ছুড়ে দেয়। এতে ওই চিতাবাঘ আতঙ্কে পড়ে যায়। এরপরেই কাভিয়াকে মুখ থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দামুরের বাড়িতে দ্রুত ছুটে যায়। চিতাবাঘের সঙ্গে লড়ে দামুর সামান্য আহত হয়েছে। এ ছাড়া তার দুই সন্তানও মুখে ও মাথায় আঘাত পেয়েছে। হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে। তবে নিজের জীবন বাজি রেখে দুই সন্তানের জীবন রক্ষা করায় প্রশংসায় ভাসছেন দামুর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।