জুমবাংলা ডেস্ক : মা তানজিনা এষার কাছে কাচ্চি খাবে বলে আবদার করেছিল ৬ বছরের ছোট্ট আরহাম। সেই আবদার পূরণে সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন তানজিনা। এক পর্যায়ে আগুন লাগলে একমাত্র সন্তান ও স্বজনদের সেখান থেকে বের করে দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত নিজে ওই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। শ্বাসনালীতে ধোয়া আটকে অসুস্থ হয়ে সেখানেই মারা যান।
তানজিনার মামাতো ভাই অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব তুষ্টি জানান, পিরোজপুরে লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তানজিনা। সেখান থেকে লেখাপড়া শেষে তার বিয়ে হয়। স্বামী-সন্তান নিয়ে রামপুরার মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল কাচ্চি খেতে তার সঙ্গে ছেলে আরহাম, খালাতো ভাই অভির স্ত্রী লামিয়া ও তার (লামিয়ার) ভাই আবির ও অভির দু সন্তান নাবা ও আয়রা গিয়েছিল।
তুষ্টি জানান, হোটেলে আগুণ লাগলে তানজিনা তার ছেলে আরহাম, খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী লামিয়াসহ অন্যদের বের করে দিয়ে নিজে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন একই সঙ্গে আরেকজন বের হওয়ার চেষ্টা করলে তানজিনা বের হতে পারেননি। একই সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিকট শব্দ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে কক্ষটি ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তানজিনা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান তানজিনা।
তানজিনার চাচা শ্বশুর পিরোজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য সাকিল আহমেদ জানান, তানজিনা শ্বশুর নাসির আহমেদ পিরোজপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। শ্বশুরের বাসা শহরের নড়াইল পাড়া এলাকায়। সে (নাদিম আহমেদ) ঢাকায় এস টি স্টিল নামে রড কোম্পানিতে আর তানজিনা একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতো। তাদের এক মাত্র ছেলে আরহাম ঢাকার মালিবাগে থাকা সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ক্লাস ওয়ানে পড়াশুনা করে।
আগুন নেভাতে ছুটে যাওয়া প্রথম পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট সাদ্দাম
সাকিল আহমেদ বলেন, আমাদের পরিবারের সবার কাছে প্রিয় ছিল অত্যন্ত সহজ সরল তানজিনা। অগ্নিকাণ্ডে লন্ডভন্ড হয়েগেল সব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।