আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিনশেষে ভারতীয় রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে আসে। এই দিন প্রতি ডলারের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৩ দশমিক ২৭৭৫ রুপিতে। মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে যা সর্বকালের সর্বনিম্ন। আগের কর্মদিবসে তা ছিল ৮৩ দশমিক ২৬২৫ রুপি।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল–হামাস সংকটের প্রভাবে ভারতীয় মুদ্রা রুপির দরপতন হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ সংকটে আশপাশের দেশগুলো জড়িয়ে পড়বে। সে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর বেড়েছে। এছাড়া এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রা বড় দর হারিয়েছে। ফলে ভারতীয় রুপির মানে ধস নেমেছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও রুপির দরপতন ঠেকাতে পারেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের মুদ্রার দরে ব্যাপক পতন ঘটে। ডলারপ্রতি মূল্যমান হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৮৩ দশমিক ২৬৭৫ রুপিতে। সেসময় তা ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম।
এশীয় অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের মুদ্রার অবনমন হয়েছে। ডলারের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার কারেন্সি কোরিয়ান ওনের সর্বোচ্চ পতন ঘটেছে। আগের দিন তা শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ দর হারায়।
একটি বিদেশি ব্যাংকের এক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী বলেন, ভারতীয় রুপি ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। কিন্তু স্বাভাবিকের মতোই টিকে আছে।
ইতোমধ্যে রুপির পতন ঠেকাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ফলে মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন রাতারাতি ঘটছে না। স্বাভাবিকের মতোই আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্পট বাণিজ্যে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ডলার সরবরাহ করেছে তারা। ফলে রুপির মান এক লাফে বেশি কমেনি।
এদিকে বাজারে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধিতে গত বছর আরবিআই বেশ কিছু মুদ্রা বিনিময়ের চুক্তি করেছিল। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এসব চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো না গেলে বাজারে ডলারের সংকট আরও বাড়তে পারে।
মা হওয়ার ক্ষমতা ছিলোনা স্ত্রীর, যেভাবে বাবা হয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তিগুলো অতীতের তুলনায় শক্তিশালী। অর্থাৎ গত বছর যখন মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়, সেই সময়ের তুলনায় এবার ভারতের অর্থনীতির মৌল ভিত্তি আরও বেশি শক্তিশালী। সেপ্টেম্বরে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।