বিনোদন ডেস্ক : বলিউড নেশা নগরী—এই বাক্য একেবারেই অত্যুক্তি নয়। বছরে এক হাজার কোটি লভ্যাংশ আসে যে ইন্ডাস্ট্রি থেকে, তার অধিকাংশ অর্থ যে নেশায় উড়ে যাবে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ধূমপান আর মদ্যপান যেন জীবনের অঙ্গ। বি-টাউনে কোন তারকারা সব চেয়ে বেশি ধূমপান করেন, তার তালিকা দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় শাহরুখ খানের কথা। শাহরুখ নিজেই জানিয়েছেন, দিনে অন্তত চার প্যাকেট সিগারেট ছাড়া তিনি চলতে পারেন না। আব্রাহাম আসার পরে নাকি শাহরুখ ভেবেওছিলেন, তিনি সিগারেট আর মদ খাওয়া ছেড়েই দেবেন। কিন্তু…। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে ‘ধূমপান নিষেধ’ লেখা জায়গায় ধূমপান করে শাহরুখ ধরাও পড়েছেন।
এর পর সঞ্জয় দত্ত। তাঁর আত্মজীবনী পড়ে জানা যায়, কতটা প্রিয় নেশা ছিল তাঁর ধূমপান। পরবর্তীকালে অসুস্থতার কারণে তিনি যখন সমস্ত ধরনের নেশা বন্ধ করতে বাধ্য হন। তখন সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমি এক বার যদি ধূমপান শুরু করি, তা হলে আমি শেষ হয়ে যাব।”
দেরিতে হলেও সঞ্জয় দত্ত বুঝেছিলেন। কিন্তু কপূর পরিবারের নায়ক রণবীর কপূর এই বিষয়ে সিদ্ধহস্ত। প্রকাশ ঝায়ের ‘রাজনীতি’ ছবিতে কাজ করার সময় রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলেন পরিচালক। বলেছিলেন, “রণবীরকে একটা লম্বা দৃশ্যে শ্যুট করানো খুব শক্ত। থেকে থেকেই সিগারেট খাওয়ার জন্য ছাড়তে হত।” স্বভাবে প্রিয় হলেও নেশার কারণে রণবীর মাঝে মাঝে ইন্ডাস্ট্রির অপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
হৃতিক রোশন ইন্ডাস্ট্রির গ্রিক দেবতা। তাঁর নাচে মুগ্ধ আপামর দুনিয়া। কিন্তু তাঁর এক টানা সুখটানে বিরক্ত ইন্ডাস্ট্রি। কারওর কথা তো তিনি মানেনই না, উপরন্তু শ্যুট চলার সময় তাঁর নিয়ত ধূমপান প্রযোজক সংস্থার বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে।
ধূমপানের চেয়ে প্রেম বড়, দেখিয়ে দিয়েছেন শাহিদ কপূর। এক সময় মিনিটে মিনিটে ধূমপান করা শাহিদ স্ত্রী মীরা রাজপুতের জোরাজুরিতেই ধূমপান বন্ধ করে দেন।
নবাব পুত্রের মেজাজটাই আসল রাজা। সইফ আলি খানের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী ধূমপান। এক সাক্ষাৎকারে মা শর্মিলা ঠাকুর বলেছিলেন, “সইফের সিগারেট খাওয়ার নেশা ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। শরীর খারাপ হলেও ও সিগারেট ছাড়তে পারে না।”
অতিরিক্ত ধূমপান করে চুলবুল পাণ্ডেও বিপদে পড়েছিলেন। পরিস্থিতি এমন হয়, যে সলমন খানের চোয়ালে অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু নেশা কি তাতেও ছাড়ে? সলমন ধূমপান কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হন। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন হয়, তিনি জিভে সিগারেট রেখে, না জ্বালিয়ে খানিক ক্ষণ মুখে রেখে সেটা ফেলে দেওয়ার অভ্যাস করেন। ধূমপান এমনই নেশা! ছাড়ালেও ছাড়ে না।
নিজেই জানেন ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু নিজেই বলেন, “আমৃত্যু সিগারেট আমার সঙ্গী। এ ছাড়া আমি বাঁচব না।” অজয় দেবগণ। নিজেই জানিয়েছেন, ধূমপান করা কোনও গর্বের বিষয় নয়। তাঁর মেয়েও তাঁকে এই নেশা ছাড়াতে সাহায্য করেন। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি।
চিন্তা দূর করার জন্য ধূমপান করেন তিনি। কঙ্গনা রানাউত। তিনি নিজেই তা স্বীকার করেছেন।
ধূমপানের নেশা এমন যে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধূমপানের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। অনেক বার চেয়েছেন নেশা ছাড়তে। কিন্তু পারেননি। কঙ্কনা সেন শর্মা কি নেশার জালে বন্দি?
তাঁর ভোর শুরু হয় সিগারেটের সঙ্গে। একটা দিনও ধূমপান না করে তিনি থাকতে পারেন না। তিনি রানি মুখোপাধ্যায়।
ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর সিগারেটই তাঁর প্রিয় বন্ধু। কোনও ভাবেই এই নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করেননি সুস্মিতা সেন।
মা আর স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে ধূমপান করার ছবি দিয়ে অনুরাগীদের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।