লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রত্যেকের মানুষের শরীরেই কোথাও না কোথাও কম বেশি তিল লক্ষ্য করা যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, শরীরের ত্বকের একই স্থানে অনেক কোষের সৃষ্টি হলে তিলের জন্ম হয়। তবে যুগ যুগ ধরে দেহের বিভিন্ন স্থানে তিলের উপস্থিতিকে জ্যোতিষ শাস্ত্র মানুষের ভাগ্যের ভালো-মন্দের পূর্বাভাস হিসাবে ব্যাখ্যা করেন। অনেকে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করলেও তিল নিয়ে জ্যোতিষ শাস্ত্রের বক্তব্য বিশ্বাসীদের সংখ্যাও কম নয়। চলুন জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে জেনে নেয়া যাক দেহের কোথায় তিল থাকলে কি হয়।
কপাল : কপালের মাঝামাঝি অংশে তিল থাকলে বুদ্ধিমান ও চালাক মনে করা হয়। আর কপালের ডানদিকে তিল থাকলে ব্যক্তিটি সঙ্গী হিসাবে ভালো। এছাড়া কপালের বামদিকে তিলের উপস্থিতিকে সৌভাগ্যবানের প্রতীক ধরা হয়।
থুতনি : জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যাদের থুতনিতে তিল রয়েছে তারা অত্যন্ত যত্নবান, ভ্রমণ পাগল ও আবেগপ্রবণ। তবে তিলের অবস্থান যদি থুতনির ডানদিকে হয় তবে ব্যক্তি যুক্তিবাদী হন আর বামদিকে থাকলে স্পষ্টভাষী।
গাল : গালে তিল উপস্থিতি মেধাবী, চৌকশ ও ক্রীড়াবিদ হওয়ার লক্ষণ। এছাড়া গালে তিল ধারণ করা ব্যক্তিরা বেশ রগচটা হয়ে থাকেন।
নাক : যাদের নাকে তিল রয়েছে এরা বেশ বন্ধুসুলভ ও পরিশ্রমী হয়ে থাকেন এবং এদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধের অনুভূতি বেশ প্রবল। এছাড়া ডানদিকের গালে তিল অধিক যৌন চাহিদা নির্দেশ করে। তবে বামদিকের গালে যাদের তিল বলা হয়ে থাকে কিছু পেতে হলে এদের যোগ্যতা দিয়েই অর্জন করতে হবে।
ঠোঁট : যাদের ঠোঁটে তিল লক্ষ্য করা যায় এরা সাধারনত জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে ভাবতে বেশ নারাজ তবে এরা খেতে ও কথা বলতে বেশ পটু হয়ে থাকেন।
পেট : পেটে তিলের উপস্থিতি আধ্যাত্মিকতার লক্ষণ প্রকাশ করে। পেটের ডানদিকে তিল থাকলে অর্থভাগ্য বেশ শুভ হয় আর বামদিকে তিল ব্যক্তির হিংসার চিহ্ন নির্দেশ করে।
বুক : যে মহিলার বুকে তিল রয়েছে এটি আদর্শ মা হবার লক্ষণ এবং এটি সন্তানের জীবনের সুখের চিহ্ন।
হাত : হাতে তিল থাকা ব্যক্তিরা অত্যন্ত দক্ষ এবং পরিশ্রমী হয়ে থাকেন এবং সাফল্য তাদের কাছে সহজেই ধরা দেয়।
পা : পায়ের তলায় তিল থাকা ব্যক্তি সাধারনত ভ্রমণ পাগল হয়ে থাকেন। এছাড়াও পায়ে তিল থাকা ব্যক্তি সহজে সমাজে সমাদৃত হন।
বিশেষ অঙ্গ : শরীরের বিশেষ অঙ্গে তিল থাকলে তাকে ভালো ও সৎ মনে করা হয়। এছাড়া যৌ না ঙ্গে তিল উত্তম জীবন ও যৌ নসঙ্গীর লক্ষণ প্রকাশ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।