জুমবাংলা ডেস্ক : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে মাঠে বিভিন্ন জাতের সরিষা ফুলের হাসি ঝরছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হচ্ছে সরিষা। এবার ঘোড়াঘাটে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় বারি-১৮ জাতের সরিষার চাষসহ রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করেছেন কৃষকরা।
ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের হাসির ঝিলিক। সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় বারি-১৮ জাতসহ বারি-১৪, ১৫, ১৭, বিনা ৯ ও ১১ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত মৌসুমে ২২০০ হেক্টরে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙের অপরুপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।ঘোড়াঘাটের কুলানন্দপুর গ্রামের সাফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকবছর আগেও তাদের জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতো। কিন্তু বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন ওই জমিতে সরিষা চাষ করছেন।
কৃষি অফিস বারি-১৮ জাতের সরিষা সম্পর্কে জানায়, ভোজ্য তেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এ জাতের সরিষা। বিঘায় ১০ মণের ওপরে ফলন। এই জাতের সরিষায় কোলেস্টরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। হৃদরোগীরাও এই তেল খেতে পারবেন। এ সরিষার তেল কানাডার কেনুলা মান পরীক্ষায় প্রত্যায়িত।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহায়া সরিষা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আমরা চলতি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় ৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে সরিষা চাষে তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।