জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তায় আবারো একটি বানরের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) এর প্রত্যক্ষদর্শী রামগঙ্গা চা বাগানের বাসিন্দা বেণু ভৌমিক দেন মর্মস্পর্শী বর্ণনা।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রাস্তায় একটি সিএনজি অটেরিকশা থামে। তখন এর পেছনে একটি বানর তার বাচ্চাসহ রাস্তা পার হচ্ছিল।
হঠাৎ করে অটোরিকশাটি ব্যাক গিয়ারে পেছনে আসলে বানরের বাচ্চাটির ওপরে উঠে যায়। মা বানরটি লাফ দিয়ে বাচ্চাকে বাঁচাতে আগলে ধরে। কিন্তু বাচ্চাটি গুরুতর আহত হয়। সেইসাথে মা বানরটিও গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায়ে বাচ্চাটি মারা গেলে মা বানর তাকে কোলে করে বনের মধ্যে চলে যায়।
বেণু ভৌমিক বলেন, প্রায় সময়ই রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন প্রাণী মারা যাচ্ছে। অনেক প্রাণী গুরুতরভাবে আহত হচ্ছে। কিন্তু এদেরকে বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নেই।
এমনকি আহত প্রাণীদের চিকিৎসারও কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি নিয়ে জানতে সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মো. আল-আমীন বলেন, বানরের বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনাটি জেনেছি। আসলে রাস্তাটি ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক হওয়াতে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। আর আহত মা বানরটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আহত হলে বানররা আর গাছ থেকে নামতে চায় না।
যে কারণে তাকে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে। আহত প্রাণীদের চিকিৎসার ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে একটি রেসকিউ সেন্টার রয়েছে। তবে আহত বন্যপ্রাণীদের আটকে রেখে চিকিৎসার চেয়ে প্রকৃতিতে তারা দ্রুত নিরাময় হয়।
বাজার কাঁপাতে আসছে টিভিএস এর নতুন বাইক, যেমন মাইলেজ তেমনই ফিচার
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, এটা বনবিভাগের লোকজনের চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। সাতছড়ি একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই বনের ভেতর দিয়ে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক চলে গিয়েছে। যানবাহনগুলো বনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। যে কারণে প্রতিনিয়ত বন্যপ্রাণী গাড়িচাপায় মারা যাচ্ছে। ওই রাস্তায় চলাচলের জন্য অবশ্যই যানবাহনগুলোকে নির্দিষ্ট গতিসীমা মানতে হবে। নইলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।