আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় কঠোর পরিশ্রম করেও ন্যায্য মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। দেশটির শ্রমবাজারে অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে মজুরি বৈষম্যে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন বাংলাদেশিরা।
প্রবাসী শ্রমিকদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জানা গেছে, যেখানে নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করে মাসে প্রায় ৩ হাজার রিঙ্গিত আয় করেন, সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ১২ ঘণ্টা কাজ করেও আয় হয় মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার রিঙ্গিত।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ বৈষম্যের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের একটি বড় অংশের দক্ষতার ঘাটতি এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকা। অনেকেই ‘কলিং ভিসা’ নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়ে কোম্পানি বন্ধ হয়ে পড়ায় অবৈধ হয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছেন।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ৫ লাখই অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
নেত্রকোনার ইমামুল, যিনি কুয়ালালামপুরের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন, জানান, ‘আমাদের বেশিরভাগই অদক্ষ শ্রমিক। তাই আমাদের কম বেতনে কাজ করতে হয়।’
একইভাবে, কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে কোম্পানির তালিকা থেকে বাদ পড়া মো. জাকির বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে কম বেতনে কাজ করি। কারণ আমাদের মধ্যে দক্ষতা ও শিক্ষার অভাব রয়েছে।’
তবে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকা কিছু শ্রমিকও রয়েছেন। যেমন কুষ্টিয়ার রাজু, যিনি দোকানে কাজ করছেন, জানান যে, তার অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো।
একজন মালয়েশীয় নাগরিক মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশিরা খুব পরিশ্রমী। কিন্তু ইংরেজি ভাষার জ্ঞান না থাকা ও প্রশিক্ষণের অভাবে তারা উন্নত পজিশনে যেতে পারে না। তাই কম বেতনে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।