জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরে প্রান্তিক কৃষক থেকে পাইকার পর্যায়ে প্রতি কেজি হাইব্রিড শষা বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চার টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি শষার মূল্য (কৃষক থেকে পাইকার) সাত থেকে আট টাকা। তবে শহরের বাজার গুলোতে হাইব্রিড শষা চূড়ান্ত ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। আর দেশি শষা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
কৃষকরা বলেছে, রোজার শুরুতে কৃষক থেকে পাইকার পর্যায়ে হাইব্রিড শষা (প্রতিকেজি) বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। আর দেশিটার মূল্য ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আর ভোক্তাদের (হাইব্রিড) কিনতে হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর দেশি শষার স্বাধ নিতে লেগেছে একশ টাকা। গত তিন দিন থেকে হঠাৎ শষার বাজার পড়ে গেছে। বাজারের এই পরিস্থিতির জন্য চাষিরা পাইকারদের সিন্ডিকেটকে দোষছেন।
ওই দামের বেশি দিয়ে কোন পাইকার শষা কিনছে না। এদিকে, এখন শষা উৎপাদনের সময়কাল অনুযায়ী মাঝামাঝি পর্যায় রয়েছে। এখন দ্রুত শষা বিক্রি না করলে শষার বয়স বেশী হয়ে যাবে আর খেতে ভাল লাগবে না। ফলে বাধ্য হয়ে কম দামেই শষা বিক্রি করছে চাষিরা। অথচ বাজারে শষার ব্যাপক চাহিদা ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। সব জিনিসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে বেশি নেওয়া হলেও ঠকানো হচ্ছে কৃষকদের।
পাইকাররা বলছে, আমরা সস্তায় কিনতে পারলে ক্রেতাদের সস্তায় দিতে পারি। কোন সিন্ডিকেট নয় এখন শষা শেষ পর্যায়ে এবং চাহিদা কমে যাওয়াতে দাম কমছে।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ এর উপপরিচালক ড.মোহিত কুমার দে বলেছেন, রোজাকে সামনে রেখে ভাল দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা বেশি পরিমান জমিতে শষার উৎপাদন করেছে। আর শষার উৎপাদনও হয়েছে বাম্পার ফলে দাম কমে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।