জুমবাংলা ডেস্ক : টানা কয়েক দিনের তাপদাহের পর হঠাৎ গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী চুয়াডাঙ্গা জেলায়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে ছিল ঝড়-বাতাস। যা ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়।
মৃদু থেকে তীব্র আর তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠে জনজীবন। এর মাঝেই মধ্যরাতের বৃষ্টি এই জেলার মানুষের জন্য প্রশান্তি বয়ে আনে। চুয়াডাঙ্গা আবহওয়া অফিস ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়। বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে আকাশ আলোকিত হয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় মেঘের গর্জন। রাত ১টা ১০ মিনিটে শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও রাতে হঠাৎ করেই বৃষ্টি হয় চুয়াডাঙ্গায়।
তিনি আরও বলেন, ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাত ১টা ৩০ মিনিটে বৃষ্টি ছেড়ে যায়। টানা কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ চলমান ছিল। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছে এখানে। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টির জন্য এদিন দিনের বেলায় ইস্তিস্কার নামাজ পড়েন চুয়াডাঙ্গার মানুষ। আর রাতেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছাড়াই দেখা মেলে বৃষ্টির। ঝড়-বৃষ্টির ছন্দে স্বস্তিতে ফেরার প্রার্থনা সবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।