জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীতে বিভিন্ন প্রজাতির ১৭টি কচ্ছপসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বনবিভাগের সদস্যরা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছর বিনাশ্রম সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি এর আগেও কচ্ছপকাণ্ডে ১৮ দিন জেল খেটেছিলেন। তবে এবারে তার ভাষ্য, তিনি কচ্ছপ পাচারকারী নন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আবদার করেছিল কচ্ছপ খাবে। তাদের খায়েস মেটা গিয়ে এই ঘটনা ঘটলো।
সোমবার সকালে জেলার গলাচিপা উপজেলার বন্যাতলী খেয়াঘাট থেকে তাকে কচ্ছপসহ আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসিম রেজা তাকে সাজা দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম সুখলাল বিশ্বাস (৪০)। তিনি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকাজল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বনবিভাগের সদস্যরা জানান, সুখলাল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ পাচার করে আসছেন। গোপন খবরে তাকে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ১৭টি কচ্ছপসহ এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর গলাচিপা প্রতিনিধি মো. রাসেল ও বন বিভাগের বোটম্যান মো. নাঈম হোসেন খান তাকে আটক করেন।
এসময় সুখলাল বিশ্বাস জানান, আমি পাচারকারী দলের সদস্য নই। তবে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কচ্ছপ খেতে চেয়েছিলেন। তাদের জন্য বরিশাল নিয়ে যাচ্ছিলাম। গলাচিপা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আটক ব্যক্তি ২০১৮ সালে কচ্ছপ পাচারকালে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে ১৮ দিন জেল খেটেছিলেন। কচ্ছপগুলো দুপুরে গলাচিপার রাবনাবাদ নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।