লাইফস্টাইল ডেস্ক : লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সৎভাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. আশরাফ আলীকে (৫৩) নারায়গঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী এলাকায় আলমগীরের মায়ের জমি জবরদখল করে ভোগ করছিলেন তার সৎভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। যা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
এরই জের ধরে সৎভাই আলমগীরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় আলমগীরকে কৌশলে ডেকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম রামদেব গ্রামে নিয়ে আসেন খেলান, আব্দুস সাত্তার ও সাত্তারের ভায়রা পাবনার রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ড্রাইভার।
এরপর তাকে পশ্চিম রামদেব গ্রামের আশরাফ আলী ও সেকেন্দার আলীর হাতে ন্যস্ত করেন তারা। সেখানে আলমগীরকে কোল্ড ড্রিংকসে চেতনানাশক খাইয়ে ঘুম পাড়ানো হয়।
আলমগীর ঘুমিয়ে পড়লে রামদেব গ্রামে আশরাফ আলী ও সেকেন্দার আলীর বাড়ির পেছনে একটি বাঁশঝাড়ের গর্তে তাকে জীবন্ত পুঁতে রাখেন তারা।
পরবর্তী সময়ে আলমগীরের পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। ঘটনার দুই মাস পরে ভিকটিম আলমগীরের সৎ দুই ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার মারা যান। সম্প্রতি সাত্তারের ভায়রা পাবনার রাশেদুল নিখোঁজ আলমগীরের পরিবারকে ফোন করে হত্যার ঘটনাটি প্রকাশ করেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভিকটিম আলমগীরের কঙ্কাল একটি বাঁশবাগানে মাটির নিচ থেকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের আপন ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।