ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক রুমিন ফারহানা। আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে বিএনপি ছেড়ে দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুমিন ফারহানা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাকির হোসেন।

দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসনটি জোটের সঙ্গীকে ছেড়ে দেওয়ার তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আসনটিতে ইতিমধ্যে বিএনপির তিন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে দুই দফায় বিএনপি ২৭২টি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করলেও আসনটি ফাঁকা রাখা হয়।
এররপর থেকে এ বিষয়ে জানতে রুমিন ফারহানার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ব্যক্তিগত সহকারী জাকির হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের পক্ষে আগামীকাল দুপুর ১২টায় সরাইল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন এলাকাবাসী। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন তিনি।’
এর আগে একাধিক জনসভায় রুমিন ফারহানা বলেছেন, তার বাবা ভাষাসৈনিক অলিআহাদ এই আসন থেকে ১৯৭৩ সালে নির্বাচন করেছিলেন। দল যাই ভাবুক তিনি এই আসন থেকেই নির্বাচন করবেন। তার সমর্থকদের জোরালো দাবির মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীরা ছয়বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছেন। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব দলীয় প্রতীক ‘খেজুরগাছ’ নিয়ে নির্বাচন করবেন। আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন পেতে অন্তত চার জন প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ছিলেন। তাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সদস্য এস এন তরুণ দে ও জেলা বিএনপির সদস্য আক্তার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সবশেষ গত শুক্রবার বিকালে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে বালুর মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মতবিনিময় সভার বক্তব্যে রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা বলি, তা-ই করি, এইটা ভালো হইলে ভালো, মন্দ হইলে আমার কিছু করার নাই। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, মার্কা যা-ই হোক, নির্বাচন করবো আমি সরাইল-আশুগঞ্জ থেকেই।’
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, ‘সরাইল আসনে ধানের শীষ প্রতীক না পাওয়ায় আমাদের নেতাকর্মীরা হতাশ। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দল যেহেতু জোটকে সমর্থন করেছে, আমাদের জোটের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই জোটের হয়েই আমরা নির্বাচনে কাজ করবো।’
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



