সোয়াদ সাদমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ; শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ২৯ জুন রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা ও প্রস্তাবনা সংক্রান্ত বুকলেট পেশ করা হয়। পাশাপাশি দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রস্তাবিত দাবি সমূহ হল:- ১/ শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।
২/ সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৩/ পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪/ অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে।
৫/ দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।
৬/ জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
৭/ বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগ প্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণ করে তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শহীদদের আকাঙ্খা বিনির্মানে, ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত একটি ক্যাম্পাস উপহার দিতে অধিকার সংশ্লিষ্ট সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শেষে শাখা ছাত্রশিবির সাত দফা দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যেখানে ১ জুলাই– ১০ জুলাই সংস্কার ক্যাম্পেইন, ১ জুলাই প্রতীকী সিট বণ্টন, ৩ জুলাই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময়, ৭ জুলাই গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচি, ১০ জুলাই ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন-এর ঘোষণা দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।