বিনোদন ডেস্ক : টলিউডের জনপ্রিয় দুই নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান। একসময় তাদের মাঝে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। তারা একসঙ্গে সিনেমা করেছেন, প্রচুর ঘুরেছেন, খেয়েছেন, মাস্তি করেছেন। আবার একসঙ্গে ২০১৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়েছেন, জয়ও পেয়েছেন একসঙ্গে।
মিমি চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরের সংসদ সদস্য, আর নুসরাত জাহান বশিরহাটের। ২০১৯ সালে নুসরাত তুরস্ক গিয়ে বিয়ে করেন দিল্লির ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে। টলিউড থেকে নুসরাতের একমাত্র বন্ধু হিসেবে সেই বিয়েতে হাজির ছিলেন শুধু মিমি চক্রবর্তী। এতেই বোঝা যায় তাদের সম্পর্ক কতটা গভীর ছিল।
কিন্তু এর কিছুদিন পরই ঘটে ছন্দপতন। স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন নুসরাত জাহান। তাতেই ফাটল ধরে মিমি-নুসরাতের বন্ধুত্বে।
কিন্তু যশের সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্কে মিমির কী ক্ষতি? ক্ষতি তো আছেই। যশকে যে মিমিও মন দিয়েছিলেন। তাও নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের বিয়ের আগে থেকে যশ-মিমি সম্পর্ক। অনেকে বলেন, এই সম্পর্কটা ছিল একতরফা। অর্থাৎ, মিমি যশকে পছন্দ করতেন, ভালোবাসতেন। একই অনুভূতি যশেরও ছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
আবার অনেকে বলেন, যশ এবং মিমির মধ্যে প্রেম ছিল। নইলে প্রিয় বন্ধু নুসরাতের সঙ্গে তার সম্পর্কে তিনি এতটা জ্বলবেন কেন? যাহোক, যশ আর নুসরাতের সম্পর্কের কথা প্রকাশ হওয়ার পর নিজেকে একেবারে লুকিয়ে ফেলেছিলেন মিমি। মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দিয়েছিলেন নুসরাতের সঙ্গে।
২০২১ সালের মার্চে জানা যায়, নুসরাত জাহান মা হতে চলেছেন। কিন্তু বাবা কে? তারই উত্তর খুঁজছিলেন সবাই। নিখিল তখন জানিয়ে দিয়েছিলেন, নুসরাতের সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এ সন্তানের বাবা তিনি নন। ফলে একটি নামই বারবার উচ্চারিত হতে থাকে, যশ দাশগুপ্ত। তাকেই ভাবা হয় নুসরাতের সন্তানের বাবা।
সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে নুসরাতকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কিন্তু প্রিয় বন্ধুর পক্ষে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি মিমিকে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নুসরাতকে দেখতে শ্রাবন্তী, তনুশ্রী, পায়েলসহ কয়েকজন নায়িকা তার বাসায় গেছেন, কিন্তু মিমিকে কখনোই সেখানে দেখা যায়নি।
এরপর ২০২১-এর আগস্টে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নুসরাত। সেই সদ্যজাতকেও দেখতে যাননি মিমি। কেন যাননি? সবকিছুর উত্তর একটাই, যশ-নুসরাতের সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেননি মিমি। এ জন্য নায়িকা কয়েক মাস হতাশায় ভুগেছেন বলেও শোনা যায়। নিজের পছন্দের মানুষটা অন্য কারও হয়ে গেলে কারই বা ভালো লাগে। হোক সে যতই ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
এরপর তো আশঙ্কাই সত্যি হয়। নুসরাত স্বীকার করে নেন যে, তার সন্তানের বাবা যশই। তারা বিয়ে করেছেন, এটাও ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু গত দুই বছরে মিমি আর নুসরাতকে একসঙ্গে কখনোই দেখা যায়নি। লোকসভাতেও না। একশো হাত দূরত্ব বজায় রেখেছেন যশের থেকেও।
তবে অবশেষে বোধহয় সব মান-অভিমানের অবসান হতে চলেছে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে বহুদিন পর পাশাপাশি দেখা যায় মিমি-নুসরাতকে। একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাদের। সেই ছবি প্রকাশ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহলে কি মান-অভিমানের পালা শেষ দুই নায়িকার? তারা কি আবার শত্রু থেকে বন্ধু হয়ে গেছেন? এমন প্রশ্ন সবার মনে।
‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানে উদ্দাম ড্যান্স দিয়ে ঝড় তুললো দেওর ও বৌদি
মজার বিষয় হলো, মিমি-নুসরাতের ছবিটি তুলেছেন যশ দাশগুপ্ত। তিনিই আবার ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেণ। লিখেছেন, ‘সেই বন্ড’। সঙ্গে দেন একটি লাভ ইমোজি। তবে কি মিটেছে দুই নায়িকার মান অভিমানের পালা? উত্তর যা-ই হোক, আপাতত বহুদিন পর দুই নায়িকাকে একসঙ্গে দেখে স্বভাবতই খুশি তাদের অনুরাগীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।