বিনোদন ডেস্ক : দ্রুত গতিতে বাড়ছে সৌদি আরবের বিনোদন শিল্প। সম্প্রতি এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বিজনেস বুলেটিনে বলা হয় সিনেমা সেক্টরের উন্নতি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরবীয় সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ এবং অ্যারাবিয়ান বিজনেসের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় গত বছরের তুলনায় এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির রাজত্ব।
দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, চলচ্চিত্র প্রযোজনা খাতে ১৭০০টি বাণিজ্যিক রেজিস্টার ইস্যু করা হয়েছে। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১৩০০।
দেশটি মনে করছে, সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য দেশের প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। তাই এ শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব।
১৯৭০ সালের পর সৌদি আরবে ইসলামিক নেতারা সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেন। যে কারণে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সেদেশে কোনো সিনেমা হল ছিল না। ২০১৮ সালে সিনেমা হলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় দেশটির রাজপরিবার।
শুধু তাই নয়, ওই একই বছর ১৮ এপ্রিল রিয়াদে চালু করা হয় দেশটির প্রথম সিনেমা হল। এরপর থেকে সৌদি আরবে হলের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শকের সংখ্যাও।
মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২১ সালে সিনেমার বাজার থেকে সৌদি আরবের আয় হয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালে বিশ্বের দশম বৃহত্তম সিনে-বাজার হয়ে উঠতে পারে সৌদি আরব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।