আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৌদি আরবের মরুভূমিগুলো অপরূপ সাজে সেজেছে। মাইলের পর মাইল মরুভূমিতে যেন কেউ বেগুনি ফুলের গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে। মরুভূমির এমন অভূতপূর্ব রূপ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। খবর আরব নিউজ।
রাফহা প্রদেশের মরুভূমিতে বিরল এই চিত্র ধরা পড়েছে। ৫০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মদ আল মুতাইরি বলেন, তিনি ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে এই সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন। নিজে না দেখলে কেউ ধারণাই করতে পারবে না, এই দৃশ্যটি সৌদি আরবের। অথচ ইরাকি সীমান্তের কাছাকাছি রাফহার দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমিতে এখন এটাই বাস্তব। পুরো এলাকা যেন বেগুনি সমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
বেগুনি এই ফুলগুলোর গাছকে তিনি বন্য ল্যাভেন্ডার হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এর গন্ধ ও সৌন্দর্য আত্মাকে সতেজ করে।
গত বছরের শেষের দিকে শীতকালীন বৃষ্টি পশ্চিম সৌদি আরবের কিছু অংশে মারাত্মক বন্যা নিয়ে এসেছিল। তবে একই বৃষ্টিপাত উত্তরাঞ্চলের মরুভূমিতে জীবন নিয়ে এসেছে।
নজরকাড়া এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন ৫৫ বছর বয়সী সৌদি ব্যবসায়ী নাসের আল-কারানিও। তিনি রাজধানী রিয়াদ থেকে গাড়ি চালিয়ে ৭৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন রাফহার মরুভূমির বদলে যাওয়া রূপ দেখতে। তিনি বলেন, এই দৃশ্যটি ১৫ থেকে ২০ দিন স্থায়ী হবে।
তিনি বেশ আয়োজন করেই রাফহার সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন। গাড়ি থেকে নেমে একটি অস্থায়ী তাঁবু গাড়েন এবং চা বানিয়ে খেতে খেতে বলেন, এই পরিবেশ আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়।
নাম জড়ায় একাধিক নায়কের সঙ্গে, এক ভিডিওতেই শেষ নায়িকার ক্যারিয়ার
তবে শুধু তিনিই নন, তার মতো আরও অনেক দর্শণার্থী রাফহার এই বেগুনি সমুদ্র দেখতে আসছেন। তারাও তাবু স্থাপন করে সেখানে অবস্থান করেন। ৫৬ বছর বয়সী হামজা আল-মুতাইরি বলছিলেন, এই প্রাকৃতিক দৃশ্যে তিনি সতেজ অনুভব করেন। আব্দুর রহমান আল-মাররি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, তিনি প্রাণবন্ত এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়েছেন। তবে এই সৌন্দর্য ১২ ঘণ্টার যাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। কারণ মরুভূমির এই রূপ দেখে আপনার মনে হবে, আপনি জান্নাতে আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।