স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের পর অবসর নেবেন কুইন্টন ডি কক। অথচ অবসরের আগে শেষ বেলায় কি অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছেন! চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডি কক তার তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। তার তিন অঙ্কের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশকে ৩৮৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া দলপতি অ্যাইডেন মারক্রাম। দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা না থাকলেও বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফেরেন চোট কাটিয়ে। কম্বিনেশন অনুযায়ী তাকে জায়গা দিতে বাদ পরড়তে হয় তাওহীদ হৃদয়কে।
বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লেতে পেয়ে যায় জোড়া সাফল্য। দলীয় ৩৩ রানে রিজা হ্যানড্রিক্সকে শরিফুল ইসলাম ও ৩৬6 রানে রাসি ভন ডার ডুসেনকে শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মারক্রামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ডি কক।
দুজনের ১৩১ রানের জুটি ভাঙ্গে ৬৯ বলে ৬০ রান করে মারক্রাম বিদায় নিলে। শেষ ১০ ওভারের আগপর্যন্ত রান রেট ছিল ৬ এর মতো। ততক্ষণে ডি কক পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি, আর ক্রিজে এসে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেছেন হেইনরিখ ক্লাসেন। ফলে দ্রুতই রানের গতি বেড়ে যায়, প্রোটিয়ারাও চলে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মারক্রামের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে ক্লাসেনকে নিয়ে ১৪২ রানের জুটি গড়েন ডি কক। হাসান মাহমুদের বলে নাসুম আহমেদকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেন, ৭টি ছক্কার পাশাপাশি হাঁকান ১৫টি চার। তিনি বিদায় নিলেও ক্লাসেন প্রোটিয়াদের বিপদে পড়তে দেননি। যদিও অল্পের জন্য শতক বঞ্চিত থাকতে হয়। শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৪৯ বলে ৯০ রান করেন ২টি চার ও ৮টি ছক্কায়।
এছাড়া মিলার ১৫ বলে ৩৪ রান করে ছিলেন অপরাজিত। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান জড়ো করে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের অপক্ষে হাসান মাহমুদ দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।