স্পোর্টস ডেস্ক : অনেকেই হয়তো বলবেন, কোনো কৌশল দরকার হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা তো চোকার্স। কোনো কৌশল না খাটালেও দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো না কোনো উপায়ে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারত। তবে গতকাল ভারতের একটি কৌশল সবার নজরে পড়েছে।
ম্যাচের সমীকরণ তখন ২৪ বলে ২৬ রান, ক্রিজে মাত্রই ফিফটি করা আগ্রাসী হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। জয়ের দ্বারপ্রান্তে প্রোটিয়ারা, বার্বাডোজের পুরো গ্যালারি নিশ্চুপ, গুটিকয়েক দক্ষিণ আফ্রিকান সমর্থকদের উল্লাস চলছে। ১৭তম ওভার করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া, তখন ম্যাচের বড় মোড় ঘোরানো এক মনস্তাত্ত্বিক চাল চেলেছে ভারত।
নির্দিষ্ট করে বললে, উইকেটকিপার রিশভ পন্ত পায়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকলেন ফিজিওকে। মাঠে ভারতীয় ফিজিওর প্রবেশে সাময়িক খেলা বন্ধ।
সে সময় ধারাবিবরণীতে রবী শাস্ত্রী বলে উঠলেন, ‘ভারত যা করা সম্ভব তার সবকিছুই করছে। এমনকি খেলার গতিও কমিয়ে দিচ্ছে। যদি তাতে ওদের দুজন (ক্লাসেন-মিলার), অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাঁহাতি-ডানহাতি জুটির খেলার ছন্দ নষ্ট করা যায়।’
এটা অবশ্য অনেকেই বুঝতে পারছিলেন, ক্লাসেন এমন ভয়ংকর রুদ্রমূর্তিতে ব্যাট করছিলেন যে ওই সময় খেলা চললে ম্যাচটা হয়তো ২ ওভার আগেই শেষ হয়ে যেত। পন্তের পায়ের সাময়িক চিকিৎসা শেষে ম্যাচ পুনরায় শুরু। এরপর যা ঘটল তা ভারতের ১৭ বছরের অভিশাপ মোচনের কেবল সূচনা ছিল।
হার্দিকের ১৭ তম ওভারের প্রথম বলই দৃশ্যপট বদলে দেয়। প্রায় ওয়াইড লাইনে করা স্লোয়ার মারতে গিয়ে ওই পন্তের হাতেই ক্যাচ দেন ৫২ রানে থাকা ক্লাসেন। আগের দুই ওভারে ২৮ রান নেয়া ক্লাসেন ক্ষণিকের বিরতিতেই খেই হারিয়ে ফেললেন হার্দিকের বল তাড়া করতে গিয়ে। পরের ঘটনা সবারই জানা।
খেলোয়াড়দের এভাবে খেলার গতি পাল্টানোর চেষ্টা সচরাচর ফুটবলে দেখা যায়। প্রতিপক্ষের চাপ থেকে গতি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ভালোই কাজ দেয়। ক্রিকেটেও দেখা যায়, পানি পানের বিরতি বা আবহাওয়াজনিত বিরতির পর ব্যাটসম্যানদের আউট হতে বা বোলিং আক্রমণ ভোঁতা হয়ে যেতে। কারণ, ভালো টাচে থাকা অবস্থায় টানা খেলে যেতে চান সবাই। এ সময় বিরতি মানেই ছন্দপতন।
ভারতীয়রা যখন ক্লাসেনের মারমুখী ব্যাটিংয়ের উত্তর খুঁজে পাচ্ছিল না তখন সময়ক্ষেপণের যে কৌশল অবলম্বন করল তা বুঝতে না পারা নিয়ে হয়তো ম্যাচ শেষে প্রোটিয়ারা ভেবে আফসোসই করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।