Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home দক্ষিণ এশিয়ায় খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের গুঞ্জন
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    দক্ষিণ এশিয়ায় খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের গুঞ্জন

    Shamim RezaSeptember 27, 20247 Mins Read
    Advertisement

    ড. মো: মিজানুর রহমান : দক্ষিণ এশিয়ায় একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রসঙ্গে আলোচনা ব্রিটিশদের ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় থেকেই ছিল। তখন সে পরিকল্পনা ভণ্ডুল হলেও গত কয়েক দশক ধরে সে গুঞ্জন আবার শুরু হয়। মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধ; কয়মাস আগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথা বলা, অতি সম্প্রীতি বাংলাদেশ ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসা এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুর ও তার আশেপাশের রাজ্যে সংঘাতের বিস্তৃতিতে সেই আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে। কথিত এই খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের সাথে ভারতের সেভেন সিস্টারস, মিয়ানমারের চিন প্রদেশ এবং বাংলাদেশের পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাকে জড়ানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আমরা দেখে নিতে চাই, এ অঞ্চলে খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের সম্ভাবনা কতটুকু এবং হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং ভূরাজনীতিতে তার কী প্রভাব পড়তে পারে।

    South Asia

    পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
    পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্বার্থ জড়িত। পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট আয়তন ১৩ হাজার ১৪৮ বর্গকিলোমিটার (কি.মি.) যা জনভারাক্রান্ত ক্ষুদ্র আয়তনবিশিষ্ট বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের এক-দশমাংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থান দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিলনস্থলে এবং ভারত মহাসাগরের প্রবেশপথে, বঙ্গোপসাগরের উপকূল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। এ অঞ্চলের সীমান্তসংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম ও মিয়ানমারের আরাকান, শান, কাচিন ও চিন প্রভৃতি প্রদেশ অবস্থিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘবদ্ধ আকৃতি, প্রস্থের তুলনায় দৈর্ঘ্য কয়েক গুণ বেশি হওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলগুলো বাংলাদেশের বৃহত্তর ভূ-ভাগের সাথে দুর্বলভাবে সংযুক্ত অভিক্ষেপিত ভূ-ভাগ। রাঙ্গামাটি থেকে ৩০ কি.মি. দূরে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের অবস্থান এবং কাপ্তাই থেকে ৫০ কি.মি. দূরে বঙ্গোপসাগরের উন্মুক্ত জলরাশির গভীর সমুদ্রের শুরু।

    বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিপুল জনসংখ্যার পুনর্বাসনের জন্য এ অঞ্চলটি অপরিহার্য। প্রাকৃতিক সম্পদের দিক দিয়েও এ অঞ্চল দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। দেশের সবচেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ বনাঞ্চল, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা, ফলমূল উৎপাদনের উপযোগী ক্ষেত্র এবং অনাহরিত-অনাবিষ্কৃত খনিজসম্পদের সম্ভাবনা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের জন্য অতি-প্রয়োজনীয় অঞ্চলে পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বাহিত কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা এবং সমগ্র চট্টগ্রামের বন্দর, কলকারখানা, নগরীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ এই কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্ভরশীল। তা ছাড়া নৌপরিবহন এবং কৃষির পানিসেচ ব্যবস্থার জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা দু’টি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রবাহিত কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, হলদিয়া ইত্যাদি নদীর ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। এভাবে দেখা যায় যে, সমগ্র চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার প্রায় সোয়া কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এবং বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অস্তিত্ব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অন্যতম উৎস পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে জড়িত।

    এ অঞ্চলটি বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরসহ দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী ও প্রায় সোয়া এক কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত চট্টগ্রাম অঞ্চলকে কৌশলগত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব দান করেছে। চট্টগ্রামের প্রায় সব নদনদী পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে এ অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নতা বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষিজমির পানি সরবরাহ, নৌ-যোগাযোগ, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের নাব্য এবং কাপ্তাই থেকে সরবরাহকৃত জলবিদ্যুতের অস্তিত্বকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে তুলবে। সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী প্রায় সোয়া ৯ লাখ বাংলাভাষী গরিব এবং মধ্যবিত্তের জীবন-জীবিকা এ জেলাকে কেন্দ্র করেই।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব
    ভারত মহাসাগর ও আশপাশের অঞ্চলে প্রভাববলয় সৃষ্টির জন্য ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ অনেক আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীই পার্বত্য চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে আসছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো রাষ্ট্রেরও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নজির আছে। সাম্প্রতিক বিশ্বের ‘বিশ্ব মঙ্গোলীয়’ বা ‘বিশ্ব বৌদ্ধ পুনরুত্থান’-এর প্রেক্ষাপটে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব সৃষ্টি করার প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে জাপান পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহীদের আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিদেশী হস্তক্ষেপকারী শক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তৎপর ভারত। চাকমা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ত্রিপুরায় আশ্রয় দেয়া, তাদের সংগঠিত করা, প্রশিক্ষণ দেয়া, অস্ত্র সরবরাহ করা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন দেয়ার পেছনে ভারতের শক্ত ভূমিকার কথা কারোরই অজানা নয়।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পেছনে চীনের সমর্থনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। পার্বত্য চট্টগ্রাম, ভারতের উত্তর-পূর্বাংশ এবং মিয়ানমারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাংশের মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর জনগণের মধ্যে বৃহত্তর কনফেডারেটরি রাষ্ট্র গঠনের আকাক্সক্ষা দেখা যায়। এসব অঞ্চলের বিদ্রোহীদের অনেকেই মাওপন্থী কমিউনিস্ট। ফলে চীন যদি এ অঞ্চলে নিজের প্রভাববলয় সৃষ্টি করার জন্য এসব গেরিলা গ্রুপগুলোকে একত্রিত ও সংঘবদ্ধ করে তাদের সাহায্য করে তবে অবাক হওয়ার তেমন কিছু নেই।

    পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের প্রসঙ্গ
    ব্রিটিশরা ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম, ভারতের উত্তর-পূর্বাংশের পার্বত্য এলাকা ও পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের পার্বত্য এলাকা নিয়ে একটি ‘ক্রাউন কলোনি’ গঠনের কথা ভাবছিল, যা সরাসরি ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত হবে। এই পরিকল্পনা প্রায় বাস্তবায়িত হতে হতে ভণ্ডুল হয়ে যায়। কিন্তু এত বছর পর এসে এ পরিকল্পনা গোপনে পুনরুজ্জীবিত করা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ওই অঞ্চলে যদি একটি খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাফার স্টেট গঠন করা যায়, তবে ভারত ও চীনের মতো সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরাশক্তিগুলোর বাধা পেরিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকা ও ইইউ আরো সহজে প্রবেশাধিকার পাবে এবং পুরো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওপর আরো শক্ত নজরদারি করতে পারবে।

    বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী। অথচ পুরো এশিয়াজুড়ে খ্রিষ্টানদের পূর্ব তিমুর নামে একটি রাষ্ট্র হয়েছে গত ক’বছর আগে। সে দেশটির ৯৭ শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের মানুষের সংখ্যা ১০ শতাংশও নয়। জনসংখ্যা বিবেচনায়, প্রায় দুই লাখ বর্গকিলোমিটারের এই বিশাল বলয়ে মাত্র চারটি রাজ্যে যেমন কেরালায় ১৮ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৮৮ শতাংশ, মিজোরামে ৮৭ শতাংশ এবং মেঘালয়ে ৭৫ শতাংশ খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী। মিয়ানমারের চিন এস্টেট এদের কাছেরই জনপদ, যেখানে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ৯৬ শতাংশ।

    বাংলাদেশের ২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, তিন পার্বত্য জেলায় খ্রিষ্টান ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে এককভাবে বান্দরবানে খ্রিষ্টান ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জনসংখ্যার শতকরা হিসেবে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা এখনো তেমন বেশি না হলেও এই অঞ্চলে কয়েক শ’ এনজিও ও খ্রিষ্টান মিশনারি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিষ্টানকরণের পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের ৩০ শতাংশ, মারমাদের ৫০ শতাংশ এবং ত্রিপুরাদের ৭০ শতাংশ খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। পাঙ্খো, লুসাই, মুরং, চাকের মতো কিছু কিছু ক্ষুদ্র উপজাতি গোষ্ঠীর প্রায় ১০০ শতাংশ সদস্য খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত। এসব এনজিও ও মিশনারি বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত।

    এ অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রে খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের সম্ভাবনা
    দক্ষিণ এশিয়ার চারটি রাজ্যে খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী রাজনীতিবিদদের রাজ্য চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে এই জনপদগুলো আয়তন ও লোকসংখ্যায় বেশ ছোট। এর পাশাপাশি মণিপুর ও অরুণাচলকেও যদি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক খ্রিষ্টান জনসংখ্যার (৪১ ও ৩০ শতাংশ) কারণে কাছে টানা হয়, তাহলে আয়তনে প্রায় দুই লাখ বর্গকিলোমিটারের একটি বলয় তৈরি হয়। ভিন্ন ভিন্ন নামে হলেও কাছাকাছি থাকা এত বড় একটি এলাকার জনবিন্যাসের এ রকম প্রবণতা নিশ্চিতভাবে চোখে পড়ার মতো। মিজোরাম ও চিনসংলগ্ন বাংলাদেশের বান্দরবানে প্রায় ১০ শতাংশ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীর উপস্থিতির কারণে বিষয়টা ঢাকায়ও মনোযোগের বিষয় হয়েছে। এ কথা সত্যি যে, কিছু রাজ্যে খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের তুলনায় এই জনসংখ্যা এত কম যে, এই রাজ্যগুলো ওই দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবে না। তবে, এ অঞ্চলের খ্রিষ্টান রাজ্যের গুঞ্জন কেবল এই বিশ্বাসীদের সংখ্যাগত বৃদ্ধির কারণে নয় বরং এই রাজ্যগুলোর অনেক এলাকায় নানা ধরনের দাবিতে নিরস্ত্র-সশস্ত্র ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে। কোথাও কোথাও সশস্ত্র সংগ্রামের ধরন ব্যাপক ও গভীর, কোথাও তা মৃদু কিন্তু, অগ্রাহ্য করার মতো নয়।

    গত ক’বছরের মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ যেখানে সবচেয়ে সক্রিয় দক্ষিণ-পূর্বের কারেন, উত্তরের কাচিন এবং পশ্চিমের চিন অঞ্চলে সুসংগঠিত গেরিলা যোদ্ধাদের মধ্যে খ্রিষ্টান ধর্ম বিশ্বাসের মানুষও অনেক। এ থেকে ধারণা করা হয় যে, যদি দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলে গণতন্ত্রপন্থীদের সশস্ত্র সংগ্রাম বিজয়ী হয় তাহলে প্রান্তিক এলাকা বাড়তি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে। এই স্বায়ত্তশাসন থেকেই একসময় স্বাধীন রাষ্ট্রে রূপ নিতে পারে। আবার গণতন্ত্রপন্থীদের সংগ্রাম অনিশ্চিতভাবে দীর্ঘায়িত হলেও গেরিলারা এ তিন অঞ্চলকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্রে রূপ দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে এ অঞ্চলের পাহাড়ি উপত্যকার মানুষ বলছে, তারা ধর্মের বদলে অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক-সার্বভৌমত্বই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু মূল ধারার রাজনীতিবিদদের মতে, তারা মূলত খ্রিষ্টান রাষ্ট্রই চান, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক স্বশাসন নয়।

    আমাকে কেন পদ দেওয়া হলো ছাত্রলীগকে প্রশ্ন করা উচিত : ঢাবি শিবির সেক্রেটারি

    বাংলাদেশের করণীয়
    খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের বিষয়টি একটি আঞ্চলিক ইস্যু যেখানে ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ সরাসরি জড়িত। বৃহৎ বৌদ্ধ ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র চীনেরও বিষয়টির ওপর দৃষ্টি থাকা স্বাভাবিক। বিশ্বের বৃহৎ খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী এবং পশ্চিমা পরাশক্তির সমর্থন এবং সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে এককভাবে বাংলাদেশের শক্তির ভিত্তিতে খুব কমই কিছু করার আছে। তবে বাংলাদেশ সরকার তার পার্বত্য চট্টগ্রামের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য অনেক প্রিভেনটিভ ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন, পার্বত্য পাহাড়ি উপজাতিদের বিরুদ্ধে সবরকমের বৈষম্য দূর করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ব্যবস্থা নিতে পারে। পাহাড়ি উপজাতিদের যৌক্তিক অভিযোগ ও দাবিগুলোকে আলাদা করে সেগুলোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ২৩(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ যদিও পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু তা আরো বাড়ানো যেতে পারে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোকে তাদের নিজস্ব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুযোগ দিতে হবে। পার্বত্য বিদ্রোহীরা শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পুরোপুরিভাবে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত সেখানে সামরিক প্রতিরক্ষা শিথিল করার সুযোগ নেই। অধিকন্তু, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত চলছে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতনতা ও যথাযথ জ্ঞান লাভ করতে হবে। সর্বোপরি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক যে কার্যক্রম রয়েছে তার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।

    লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক এবং কলামিস্ট
    [email protected]
    সূত্র : দৈনিক নয়া দিগন্ত

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    এশিয়ায় খ্রিষ্টান খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গুঞ্জন দক্ষিণ মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার রাষ্ট্রের
    Related Posts
    রিজভী

    ভারতে বসে গোপালগঞ্জে হামলার নির্দেশ দিয়েছে শেখ হাসিনা: রিজভী

    July 18, 2025
    ভোটের অধিকার

    দেশের কোটি মানুষের একটাই দাবি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান

    July 18, 2025
    নারায়ণগঞ্জ

    ‘নারায়ণগঞ্জে খেলার নিয়ম এখনো বদলায়নি, তাই খেলার নিয়ম বদলাতে হবে’

    July 18, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Jamaat

    রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা

    Dhanmondi

    চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে গেল যুবক, ভিডিও ভাইরাল

    গোপালগঞ্জের ঘটনায় আ. লীগ তওবা করার সুযোগ হারিয়েছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

    Nahid Islam

    কোন চাঁদাবাজদের কাছে দেশ বর্গা দেয়া হবে না: নাহিদ

    Rizvi

    গোপালগঞ্জ কি ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্য? প্রশ্ন রিজভীর

    পাপিয়ার মন্তব্য ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

    astronomer ceo andy byron wife megan viral video

    Astronomer CEO Andy Byron’s Wife Megan Drops His Last Name After Viral Coldplay Video

    Papia-Sarjis

    প্রবাসীদের নিয়ে পাপিয়ার বিরূপ মন্তব্য, কড়া প্রতিবাদ সারজিসের

    Andy byron ceo statement

    Fact Check: Andy Byron CEO Statement Goes Viral After Coldplay Concert Kiss Cam Scandal

    Kenneth C Thornby

    Who Is Kenneth C Thornby? Truth Behind Kristin Cabot’s Ex-Husband After Viral Coldplay Kiss Cam Incident

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.