জুমবাংলা ডেস্ক : উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী) একবছরে চায়ের উৎপাদন ৩২ লাখ কেজি বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের এ পাঁচ জেলায় ১২ হাজার ৭৯ দশমিক ০৬ একর সমতল জমিতে ৩০টি চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ক্ষুদ্রায়তনের চা বাগান রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত (২০২২) মৌসুমে এসব বাগানে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
চা বোর্ড জানায়, এক বছরে এসব বাগান থেকে ৯ কোটি দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৩২ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চলমান ২৫ টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
চা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২১ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিলো ১১ হাজার ৪৩৩ দশমিক ৯৪ একর। উৎপাদন হয়েছিলো এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। সেই তুলনায় গত এক বছরে আবাদ বেড়েছে ৬৪৫ দশমিক ১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি।
চা বোর্ড আরো জানিয়েছে, সিলেট অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। পঞ্চগড়কে অনুসরণ করে চা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা। এক সময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে উঠছে। আন্তর্জাতিক মানের চা উৎপাদন হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলের চা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। চা-বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠায় সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কর্মসংস্থান।
তথ্য মতে, উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার মোট ১২ হাজার ৭৯ দশমিক ০৬ একর সমতল জমির চা আবাদের মধ্যে পঞ্চগড়েই রয়েছে ১০ হাজার ২৩৯ দশমিক ৮০ একর। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৪৫৭ দশমিক ২৯ একর, লালমনিরহাটে ২২২ দশমিক ৩৮ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০ দশমিক ৫৯ একর আবাদ রয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পপনা হাতে নেওয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। দিনদিন এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হয়।’
সূত্র ও ছবি : রাইজিংবিডি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।