আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উন্নত জীবনযাপন এবং চাকরির বেতন ভালো হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে আগ্রহী। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর বহু কর্মী যাচ্ছেন দেশটিতে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের জন্য এবার এলো বড় সুখবর।
অ-পেশাদার বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসার কোটা বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি বাড়ছে কাজের খাতও। কম জন্মহার এবং বার্ধক্যের কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী শ্রম ঘাটতি দূর করতেই এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া ইকোনমিক ডেইলি (কেইডি গ্লোবাল)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি কর্মীদের (অ-পেশাদার) জন্য ই-নাইন ভিসার কোটা আগামী বছর ৩৭.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। গত ২৭ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০০৪ সালে দেশটির সরকার স্থানীয় কোম্পানি, বিশেষ করে ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোকে অ-পেশাদার বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়া শুরু করার পর থেকে এটিই ই-নাইন ভিসার কোটা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় ঘোষণা।
নতুন বছরে যেসব খাতে কর্মী নিয়োগ করা হবে তার মধ্যে উৎপাদন শিল্পে ৯৫০০০ জন, কৃষি খাতে ১৬০০০, নির্মাণ শিল্পে ৬০০০, মৎস্য খাতে ১০০০০ জন, জাহাজ শিল্পে ৫০০০, সেবা খাতে ১৩০০০ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ২০০০০ জনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের নীতি সমন্বয়ক অফিসের মন্ত্রী বাং কি-সান বলেন, আগামী বছর ই-৯ ভিসা ইস্যু বাড়ানো হলে স্থানীয়দের এড়িয়ে যাওয়া চাকরির শূন্যপদ-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে তা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া অভিবাসী শ্রমিকদের যোগ্য দেশগুলোর সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও প্রস্তুত বলে জানা গেছে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে ১৬টি দেশ থেকে কর্মী যায় দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে ভারতসহ আরও ছয়টি দেশকে এ তালিকায় যুক্ত করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।