বিনোদন ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন ভারতীয় চলচ্চিত্রকে নেতৃত্ব দিচ্ছে! দর্শকপ্রিয়তা ও ব্যবসায়ীক সফলতায় বলিউডকেও ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, মৌলিক গল্প নিয়ে কাজ করেও খ্যাতি কুড়াচ্ছে। এখন বলিউডের অনেক তারকাই দক্ষিণী সিনেমায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন; অনেকে কাজ শুরুও করেছেন।
এর আগেও বলিউডের অনেক জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। বলিউডে সফল হলেও দক্ষিণী সিনেমায় তারা সফলতা পাননি। দক্ষিণী সিনেমায় ব্যর্থ—এমন ক’জন বলিউড অভিনেত্রীকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
মনীষা কৈরালা
নেপালি সুন্দরী মনীষা কৈরালা। ১৯৯১ সালে ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিষেক চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়। তারপর ‘অ্যা লাভ স্টোরি’, ‘খামোশি’, ‘অগ্নি স্বাক্ষী’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৪ সালে ‘ক্রিমিনাল’ সিনেমার মাধ্যমে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন মনীষা। এই সিনেমায় তার সহশিল্পী ছিলেন নাগার্জুনা আক্কেনেনি ও রামায়া কৃষ্ণান। কিন্তু সিনেমাটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলেনি। এরপর দুই-তিনটি সিনেমায় অভিনয় করলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি মনীষা।
বিপাসা বসু
২০০১ সালে ‘আজনবী’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী বিপাশা বসু। আর প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই বাজিমাত করেন তিনি। কারণ সিনেমাটিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার সেরা নবাগত পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে ‘রাজ’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। বলিউডে পা রেখেই সফলতা পাওয়ার পরও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করেন বিপাশা। ২০০২ সালে তেলেগু ভাষার ‘টাকারি ডাং’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মহেশ বাবু। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে সিনেমাটি।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলিউড দর্শকদের মন জয় করে এ অভিনেত্রী পাড়ি জমিয়েছেন হলিউডে; সেখানেও মুঠো মুঠো খ্যাতি কুড়িয়েছেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো—প্রিয়াঙ্কা তামিল ভাষার ‘থামিজান’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খান এই অভিনেত্রী। ঠিক তার পরই বলিউডে নাম লেখান। এরপর আর কোনো দক্ষিণী সিনেমায় দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে।
অমৃতা রাও
২০০২ সালে ‘আব কে বারস’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউড অভিষেক হয় অমৃতা রাওয়ের। এ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। তারপর শহিদ কাপুরের বিপরীতে ‘ইশক ভিশক’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। ২০০৪ সালে ‘ম্যায় হু না’-এর মতো অনেকগুলো সিনেমায় অভিনয় করেন, যা বক্স অফিসও শাসন করে। ২০০৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘আথিড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে দক্ষিণী সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন অমৃতা। সিনেমাটিতে মহেশ বাবুর বিপরীতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু সিনেমাটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এরপর আর কোনো দক্ষিণী সিনেমায় দেখা যায়নি অমৃতাকে।
ক্যাটরিনা কাইফ
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ক্যাটরিনা কাইফ। ২০০৪ সালে ‘মালিশ্বরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। এ সিনেমায় ক্যাটরিনার অভিনয় দর্শক পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু সিনেমাটি বক্স অফিসে জাদু দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর আরো কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন ক্যাটরিনা। কিন্তু ক্যাট তার জাদু দেখাতে ব্যর্থ হন দক্ষিণী সিনেমায়। স্বাভাবিক কারণে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আর দেখা যায়নি তাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।