জুমবাংলা ডেস্ক : এবার সয়াবিন তেল নিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে দোকানী এবং সাধারণ মানুষ। ভ্যাট কমানোর পর বেঁধে দেয়া দামে তেল বিক্রি হলেও, বাজারে এক ও দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই বললেই চলে। ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতারাও বলছেন, বেশিরভাগ কোম্পানির এক ও দুই লিটার তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
দুই দফায় ভ্যাট কমানোর পর সরকার বেঁধে দেয়া দামেই ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ বাজার থেকে প্রায় উধাও এক ও দুই লিটার সয়াবিন তেলের বোতল।
ক্রেতারা জানান, সয়াবিন নিয়ে মার্চের শুরুতে তৈরি সংকটের সময় বাজার থেকে যেমন পাঁচ লিটারের বোতল হাওয়া হয়ে গিয়েছিলো, এবার ঠিক তার উল্টো।
এতে করে ক্রেতারা বিপাকেও পড়েছেন। অনেকের দাবি, এক দুই লিটারের বোতল না থাকায় বাধ্য হয়েই প্রয়োজন না থাকার পরও পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, শুধুমাত্র হাতে গোনা দুই তিনটি কোম্পানি এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে। কিন্তু সেটাও চাহিদার চারভাগের একভাগ।
তারা জানান, সয়াবিন তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যদি দুই ও তিন লিটারের বোতল দেয়া হতো, তাহলে তাদের বিক্রিও বাড়তো। সেটি তো হচ্ছেই না, উল্টো ক্রেতার রোষে পড়ছে।
বাজারে এখনও দু’একটি দোকানে পুরনো দামে অর্থাৎ ১৬৮ টাকায় এক লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেলেরও সরবরাহ কম।
তবে এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল নিয়ে সংকটের কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সতর্ক করলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশে বর্তমানে সাতটি কোম্পানি বোতলজাত সয়াবিন তেল উৎপাদন ও বিপণন করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।