জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে খোলা তেল বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকায়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। আর পাইকারিভাবে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা কেজিতে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও একই তেল খুচরা বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজিতে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত এক দেড় মাস ধরে ৩-৫ কেজি ওজনের তেলের বোতল দেয়া বন্ধ রয়েছে। এক-দুই কেজির বোতলের চাহিদা যেখানে আমাদের এক বাক্স, সেখানে পাওয়া যায় দুই-তিন পিস করে।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তি। আমদানি হচ্ছে খুবই কম। রমজান মাসে তেলের সংকট যাতে না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। হঠাৎ করে ইন্দোনেশিয়া পামওয়েল তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তেল ব্যবসায়ী ওয়ালিদ হোসেন বলেন, পামওয়েল উৎপাদনের দেশ ইন্দোনেশিয়া। দেশটি তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে খোলা তেলের দাম বেড়েছে। তাই আজ থেকে খোলা তেল পাইকারিতে ১৯২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, এখানে আমাদের তো লাভ লসের কিছু নেই।
পাঁচতলা বাজারে ব্যবসায়ী মোকাফ্ফার হোসেন বলেন, রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা ড্রাম (১৮৫কেজি ওজনের) তেল কিনেছি। সোমবার সকলে সেই তেল কিনেছে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায়। অনান্য খরচ বাদে এখন বিক্রি করছি ১৯৫ টাকা কেজিতে। আমরা পাইকারি দরে বিক্রি করছি।
রামপুরার আনিস মেসার্সের ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম বলেন, খোলা তেল ২০০ টাকা কেজি। বোতল ১৬৮ টাকা লিটার। বেশি দিতে পারব না। তার মতই একই কথা বলেন, আলমগীর, সোহাগ এবং পিন্টু মন্ডল। তারা সবাই রামপুরা বনশ্রী এলাকার দোকানদার। তারা বলেন, গত দুই মাস দরে কোম্পানি থেকে তেল দিচ্ছে না।
সরকারি তথ্য মতে, দেশে সয়াবিন ও পাম অয়েলের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মজুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত যে তেল রয়েছে নতুন করে তেল আমদানি না হলেও এই তেল দিয়ে অন্তত পক্ষে আরো তিন মাস চলবে। আর নতুন করে বাড়তি দামে যে তেল আসবে, তা আসতে দুই মাস সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন,পামওয়েল তেল আমরা সাধারণত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করি। এখন ইন্দোনেশিয়া পামওয়েল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।