লাইফস্টাইল ডেস্ক : মহাকাশে যাওয়ার চিন্তাটা নিশ্চয়ই কোনো না কোনো সময় সবার মনেই এসেছে। মানুষ যখন এলিয়েন সম্পর্কিত জিনিস, চাঁদে মহাকাশযানের অবতরণের খবর বা মহাকাশ সংক্রান্ত অন্য কোনো তথ্য শোনে, তখন চিন্তাটা আরও বেশি আসে যে তারাও যদি একদিন মহাকাশে যেতে পারত। কিন্তু মহাকাশে যাওয়ার পর মানুষের শরীরে যে ৫টি আশ্চর্যজনক পরিবর্তন ঘটে, জানলে মহাকাশে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেবেন।
মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, এ কারণে হাঁটা সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় মানুষের পা শিশুর পায়ের মতো নরম হয়ে যাবে। নভোচারী স্কট কেলি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য দিয়েছেন। পায়ের শক্ত চামড়া উঠে যায় এবং পা খুব নরম হয়ে যায়।
মহাকাশে যাওয়ার পর নভোচারীরা (Astronaut) তাদের চোখের সামনে হঠাৎ উজ্জ্বল আলো দেখতে পান, একে মহাজাগতিক রশ্মি চাক্ষুষ (Ray Visual Phenomenon) ঘটনাও বলা হয়। অর্থাৎ তাদের চোখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলতে শুরু করে (Astronaut’s Eye)।
স্পেস স্যুট (Space Suit) পরার সময় আঙুলগুলি সম্পূর্ণ সিল হয়ে যায় এবং আঙুলে চাপের পয়েন্ট তৈরি হয় যার কারণে আঙুলগুলিতে এবং পেশীতে ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু এর সাথে সাথে মানুষ অনিকোলাইসিস নামক রোগে ভুগতে শুরু করে যার কারণে আঙ্গুলের নখ উপড়ে যায়।
মহাকাশে থাকার কারণে শরীর নড়তে থাকে, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে তরল সঞ্চালন করতে থাকে। এ কারণে মহাকাশচারীরা খুব একটা পিপাসা অনুভব করেন না। শরীর মনে করে এটি অতিরিক্ত তরল এবং এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অপসারণ শুরু করে। যে কারণে প্রস্রাব বেশি হয়।
শরীরের তরল পদার্থ অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে তা মুখে পৌঁছায় যার কারণে মুখ ফোলা দেখাতে শুরু করে। পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ আছে, যার কারণে এই তরল হৃৎপিণ্ডের নীচের অংশে বেশি জমা হয়। কিন্তু মহাকাশে থাকাকালীন এই তরল শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।