বিনোদন ডেস্ক : ১৯৯৭ সালে স্বপন সাহার চলচ্চিত্রে প্রসেনজিতের মেয়ে হিসেবে পর্দায় আসেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। বিনোদন জগতে আত্মপ্রকাশ ওই সিনেমার মাধ্যমেই। ২০০৩ সালে নায়িকা হিসেবে অভিষেক করেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিনেমাতে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বাণিজ্যিক এবং সমান্তরাল সিনেমায় দাঁপিয়ে অভিনয় করেছেন। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই কাটাছেঁড়া হয়। শোনা যাচ্ছে, আবার প্রেমে পড়েছেন তিনি।
এর আগে ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে শ্রাবন্তীর নাম জড়িয়েছিল। আচমকা শোনা যায়, সেই সম্পর্ক ভেঙে গেছে। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল, শ্রাবন্তী নাকি নিজের জিম ট্রেনারকে মন দিয়েছেন।
তবে এবারে শোনা যাচ্ছে, সেই প্রেমিককেও বিদায় জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। বর্তমানে নাকি টালিগঞ্জের নামজাদা এক পরিচালকের প্রেমে মজেছেন প্রথম সারির এই অভিনেত্রী। কে সেই পরিচালক তা জানা যায়নি। কিন্তু, মাঝেমধ্যেই নাকি সেই পরিচালকের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে শ্রাবন্তীকে। এ নিয়ে জল্পনার মাঝেই অভিযাত্রিক ছবির পরিচালক শুভজিৎ মিত্রের সঙ্গে দেখা গেল তাকে। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে দুই তারকার ছবি। আসলে শ্রাবন্তী নিজের ফেসবুক স্টোরিতে ওই ছবি আপলোড করেছিলেন। এরপরেই ভাইরাল হয় সেই স্ন্যাপ।
এই পরিস্থিতিতে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন শুভ্রজিৎই কি ‘রহস্যময়’ সেই পরিচালক? যদিও তেমনটা নয়। মাঝেমধ্যে শুভ্রজিৎ এবং শ্রাবন্তীকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে কারণ তারা একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন।
টুইটারে ইতিমধ্যেই সেই ঘোষণা করেছেন শুভ্রজিৎ মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, তার আপকামিং ছবিতে দেবী চৌধুরানির ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রাবন্তীকে। অভিনেত্রীর সঙ্গে ওই ছবি নিয়েই আলোচনা করার জন্য মাঝেমধ্যে সাক্ষাৎ করছেন পরিচালক। ভাইরাল হওয়া ছবিতে এক লাইব্রেরিতে বসে থাকতে দেখা গেছে পরিচালক এবং অভিনেত্রীকে। সম্ভবত দেবী চৌধুরানি ছবির জন্য রিসার্চ করছিলেন তারা।
উল্লেখ্য, এই ছবিতে শ্রাবন্তীর সঙ্গে আবারও স্ক্রিন শেয়ার করতে চলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের।
ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি মায়ার বাঁধনেও প্রসেনজিতের সঙ্গেই অভিনয় করেছিলেন শ্রাবন্তী। ওই সিনেমায় মায়ার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর শ্রাবন্তীর রিললাইফ বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ।
সূত্র : এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।